গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা নিয়ে চিন্তিত? এই ১০ টি নিয়ম মানলে রোজা রাখতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই!
১. রোজার রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সর্বপ্রথম একজন গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ উনি জানবেন আপনার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে। তাই রোজা রাখতে পারবেন কিনা আগে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে নিন।
২. আপনার ডায়াবেটিস, অ্যানেমিয়া এবং প্রি-একলেম্পসিয়া আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। ডায়াবেটিস যদি থেকে থাকে তবে রোজা রাখাকালীন সময়ে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যেতে পারে বা কমে যেতে পারে তখন গর্ভবতী মা ও শিশু মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এছাড়া অ্যানেমিয়া আক্রান্ত মায়েরা শারিরিক দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন, তাই অতিমাত্রায় অ্যানেমিয়া আক্রান্ত মায়েদের গর্ভাবস্থায় রোজা না রাখাই ভালো।
৩. গর্ভাবস্থায় রোজা রেখে সেহরি বা ইফতারে কি খাবেন সেটা বুঝতে পারেন না অনেকেই। তাই, একজন পুষ্টিবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট প্ল্যান তৈরি করে নিতে পারলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে পুষ্টি মান অটুট থাকবে।
৪. এসময় কফি, চা (এমনকি গ্রিন টি) এবং চকোলেট খাওয়া কমিয়ে দিতে পারলেই ভালো। কারণ এগুলোতে ক্যাফেইন থাকে, যার ফলে গর্ভবতী মায়েরা রোজার সময় পানি শূন্যতায় ভুগতে পারেন।
৫. এসময় শরীরের ওজন কয়েকদিন পরপর পরীক্ষা করুন।
৬. শারীরিক কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। যেমনঃ খুব তৃষ্ণার্ত বোধ করছেন কিনা, মাথা ব্যথা অনুভব করছেন কিনা, বমি ভাব বেড়ে যাচ্ছে কিনা? এসবের কোনো একটি সমস্যা অতি মাত্রায় হলে রোজা রাখতে পারবেন না।
৭. সব সময় বিশ্রামে থাকতে চেষ্টা করুন। দুশ্চিন্তা মুক্ত,চাপ মুক্ত থাকুন।
৮. অনেক দূর হাঁটার পথ পরিহার করুন। ভারী কিছু বহন করা থেকে বিরত থাকুন।
৯. রাতে দেরি করে ঘুমাবেন না। কমপক্ষে ৮-৯ ঘন্টা একটানা ঘুমানো জরুরি।
১০. স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে ইফতার করুন। লাল আটা, হোলগ্রেইনস, খেজুর এবং অন্যান্য শুকনো খাবারের মত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ধীরে ধীরে শক্তি নিঃসরণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে শাকসবজি এবং ফলমূল খান। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ২.৫ - ৩ লিটার পানি পান করুন। তবে ঠেসে জোর করে পানি পান করবেন না। একটু পরপর অল্প করে পানি পান করুন।