পেটে গ্যাস জমে। নানারকম আওয়াজ হয়। কখনো কখনো পায়ুপথ দিয়ে বাতাস বেরোয়। এগুলো খুবই বিব্রতকর সমস্যা। ইংরেজিতে এ সমস্যার নাম ফ্ল্যাটুলেন্স। অত্যধিক গ্যাস জমার ফলেই এমন হয়। অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। আর এজন্য তাদের প্রায়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
সাধারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যেখানে ওপরের পেটে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, মুখে টক টক স্বাদ, টক ঢেকুর—এসব উপসর্গ থাকে সেখানে হার্ট অ্যাটাক হলে সাধারণত বুকের মধ্যখানে চাপ চাপ ব্যথা হয়, অনেক সময় ব্যথা না হয়ে শুধু অস্বস্তি হতে পারে। ব্যথাটা চোয়ালে, ঘাড়ে, পিঠে বা হাতে ছড়িয়ে যেতে পারে। এ ব্যথা অন্তত ২০ মিনিট বা এর বেশি স্থায়ী হতে পারে। সঙ্গে প্রচণ্ড ঘাম, বমি অথবা বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনকি অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা বুকে না হয়ে ওপরের পেটে হতে পারে।
চিকিৎসাঃ
হার্ট অ্যাটাকের পর প্রতিটি মিনিট মূল্যবান। রোগনির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাসপিরিনজাতীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা ও হার্ট অ্যাটাকের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে গেলে ব্লক খোলার চিকিৎসা দেওয়া যায়। দুই–তিন ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।
যেহেতু গ্যাস্ট্রিক ও হার্ট অ্যাটাকে প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়, তাই অনেক সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া রোগনির্ণয় সম্ভব হয় না। এ জন্য বুকব্যথা, যা সহজে সারছে না বা থেমে থেমে বারবার হচ্ছে, ২০ মিনিটের বেশি স্থায়ী হচ্ছে, সঙ্গে ঘাম বা বমি ভাব; তবে সেই ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিক ভেবে অবহেলা করা যাবে না।