রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

শীতে বাচ্চাদের যে রোগগুলো সচরাচর হয়ে থাকে শেষ পর্ব - মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও উচ্চমাত্রার জ্বর

১৩-১২-২০২৩

শীতে বাচ্চাদের যে রোগগুলো সচরাচর হয়ে থাকে শেষ পর্ব - মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও উচ্চমাত্রার জ্বর

শীতকালে সবারই কমবেশি ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি থাকে। এই বিষয়ে আগের আলোচনায় আমরা অ্যালার্জিক রাইনাটিস ও ব্রংকিওলাইটিস নিয়ে কথা বলেছিলাম। এটি শীতে বাচ্চাদের সচরাচর হওয়া রোগ নিয়ে আলোচনার শেষ পর্ব। এই পর্বে আলোচনা করা হবে মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও উচ্চমাত্রার জ্বর নিয়ে -

মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা
মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের একপ্রকার তীব্র শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ। সাধারণত এ, বি, সি এবং ডি চার ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস রয়েছে। এর মধ্যে এ এবং বি ভাইরাস দুটিই মৌসুমি মহামারি রোগের কারণ।
এই রোগ হলে হঠাৎ জ্বর, কাশি (সাধারণত শুকনো), মাথা ব্যথা, পেশী অস্থিগ্রন্থিতে ব্যথা, অসুস্থতা বোধ, গলা ব্যথা এবং নাক দিয়ে সর্দি ঝড়া, গুরুতর কাশি হতে পারে এবং তা দুই বা আরো অধিক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এ ছাড়া থাকতে পারে মাথা ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ ও ব্যথা, দুর্বলতা বা ক্লান্তি, কাশি, বুকে অস্বস্তি বোধ ইত্যাদি।

উচ্চমাত্রার জ্বর
এই সময় শিশুদের উচ্চমাত্রার (১০০-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এরও বেশি) জ্বর হতে পারে। লক্ষণগুলো সাধারণত ১০ দিন থেকে দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন হয় না এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই সবাই সুস্থ হয়ে যায়। তবে কখনো কখনো বিশেষত উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। গুরুতর রোগ বা জটিলতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা হলেন: গর্ভবতী নারী, পাঁচ বছর বা ৫৯ মাসের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক, দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা ব্যক্তিরা (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগ, কিডনি, লিভার রোগ বা ইমিউনোসপ্রেসিভ অর্থাৎ তরঙ্গ প্রতিরোধ অবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত (যেমন- এইচআইভি/ এইডস, কেমোথেরাপি বা স্টেরয়েড গ্রহণ বা ক্যান্সার)।

প্রতিরোধ
ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা। নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিনগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে রক্ষার জন্য বার্ষিক টিকা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ইনজেক্টেড অ্যাক্টিভেটেড ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনগুলো সারা বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা জটিলতার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকদের সংস্পর্শে যাঁরা থাকেন তাঁদের জন্য টিকা দেওয়া বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ।
যাঁরা টিকা নিতে পারেন তাঁরা হলেন : গর্ভাবস্থার যেকোনো পর্যায়ের গর্ভবতী নারী। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু। বয়স্ক ব্যক্তিরা (৬৫ বছরের বেশি বয়সী)। দীর্ঘস্থায়ী রোগাক্রান্ত ব্যক্তি ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

নয় অ্যান্টিবায়োটিক
ওপরের সব কটি রোগই ভাইরাস সংক্রমণে ঘটে বিধায় এসবে কখনোই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। বরং অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগে উপকারের চেয়ে অপকারসহ বিভিন্ন জটিলতার আশঙ্কা বেশি থাকে।
তবে শিশুরা যদি হাসি-খুশি না থাকে, দেখেই কিছুটা অসুস্থ মনে হয়, তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা যায়, তবে ধরে নেওয়া যেতে পারে সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। যেকোনো বয়সের শিশুরই নিউমোনিয়া হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, শিশুর বয়স যদি তিন মাসের কম হয়, অনেক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিংবা তাকে খুব অসুস্থ দেখালে কিংবা বুকের এক্স-রেতে নিউমোনিয়া দেখা দিলে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। শিশু যদি একেবারে খাওয়া ছেড়ে দেয় কিংবা শ্বাস নেওয়ার গতি দুই মাসের কম বয়সী শিশুর মিনিটে ৬০ বার, দুই মাস থেকে এক বছরের পর্যন্ত প্রতি মিনিটে ৫০ বারের বেশি এবং এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর মিনিটে ৪০ বারের বেশি হলে কিংবা শিশুর ঠোঁট, জিব নীল হয়ে গেলে তাকে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। কারণ এসবই নিউমোনিয়া বা মারাত্মক রোগের লক্ষণ।

এই পাতাটি ২১৯বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626