বর্তমানে আমাদের সমাজ নৈতিক অবক্ষয়ে ভুগছে। তরুন সমাজ অনেক নানা রকম বিষন্নতায় ভোগের কারনে মাদকাসক্ত সহ নানা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার এক পর্যায়ে অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ঢাকা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে শিশু কিশোরদের আঠার শতাংশের বেশি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত।মানসিক রোগ হলে তার অনেকগুলো শারীরিক প্রভাবও দেখা যায়। যেমন মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসে সমস্যা, অনীহা বা দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।
এই রকম রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে যদি দেখা যায় যে, তার আসলে শারীরিক কোন সমস্যা নেই, তারপরেও তিনি এরকম সমস্যায় ভুগছেন। তখন এটা মানসিক কারণে হতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করি।
শিশুদের ক্ষেত্রেও তাই। অনেক সময় দেখা যায়, তার আচরণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে খুব রেগে যাচ্ছে, ভাঙচুর করছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। পড়ালেখায় আগ্রহ নেই, ঘুম হচ্ছে না, খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করছে না। এসব লক্ষণ দেখা গেলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
রাজশাহীতেও মানসিক রোগী দিন দিন বাড়ছে। জামান প্যাথলজীতে নিয়মিন রোগী দেখছেন ডা: মো: রাকিবুজ্জামান চৌধুরী (সৈকত)।এমবিবিএস, বিসিএস(স্বাস্থ্য), এমসিপিএস(সাইকিয়াট্রি),পিএইচডি(ফেলো),কনসালটেন্ট সাইকিয়াট্রিস্ট,মনোরোগ বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।