হাম কি?
হাম একধরনের ভাইরাসজনিত রোগ। প্যারামিক্সো ভাইরাসের কারণে রোগটি হয়। সাধারণত পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদের এ রোগ হয়। তাছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম, গর্ভবতী নারীদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
হামের লক্ষণগুলো কি কি ?
ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার 10-12 দিনের মধ্যে হামের লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে। নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা যায়:
জ্বর, কাশি, সর্দি, স্বরভঙ্গ, মুখে সাদা দাগ, সারা শরীরে ত্বকের ফুসকুড়ি হামের একটি ক্লাসিক লক্ষণ। এই ত্বকের ফুসকুড়িটি 7 দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার 14 দিনের মধ্যে দেখা যায়। এটি সাধারণত মাথা দিয়ে শুরু হয় এবং তারপর ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অংশের দিকে অগ্রসর হয়।
করণীয় কি?
হাম হলে অবহেলা করা যাবে না। হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। হামে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। আর একটু পরপর ভেজা তোয়ালে বা গামছা বা নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। হাম হলে রোগীকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হয়। এ সময় বাসা থেকে বের না হওয়াই ভালো। অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আর স্বাভাবিক খাবারদাবারের পাশাপাশি রোগীকে বেশি বেশি তরল খাবারও দিতে হবে।
টিকা
যে কোনো অসুখের প্রতিরোধের মূল হচ্ছে টিকা। হামের জন্য দেশে অনেকগুলো টিকা প্রকল্প আছে। হামের জন্য মোট ৩টি টিকা আছে। এমআর ভ্যাকসিন, আর ভ্যাকসিন ইত্যাদি। এমআর ভ্যাকসিন বাচ্চাদের ৯ মাস বয়সে, আরেকটি দেওয়া হয় ১৫ মাস বয়সে।