শীতে বাচ্চাদের যে রোগ গুলো সচরাচর হয়ে থাকে ১ম পর্ব - সাধারণ ঠাণ্ডা ও ঠাণ্ডার এলার্জি
শীতকালে সবারই কমবেশি ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছাড়াও এই সময়ে যে কারোর সাধারণ ঠাণ্ডা, ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ঠাণ্ডাজনিত অ্যালার্জিতে শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হতে পারে। শীতকালীন সময়ে শিশুদের এমন কিছু সাধারণ রোগবালাই এর মধ্যে সাধারণ ঠাণ্ডা ও ঠাণ্ডার এলার্জি অন্যতম। এক্ষেত্রে করণীয় বিষয়ে একটু সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
সাধারণ ঠাণ্ডা
শীতকালে ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-কাশিতে সবাই আক্রান্ত হতে পারে।এ অবস্থায় আক্রান্ত শিশুর নাক দিয়ে অনর্গল পানি পড়া, শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাওয়া বা হালকা জ্বরজ্বর ভাব, অরুচি বা খাওয়ার ক্ষেত্রে অনিচ্ছা এবং সামান্য গলা ব্যথা থাকতে পারে।
ঠাণ্ডার কারণে শিশুর নাক বন্ধ থাকতে পারে, এর জন্য নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত লবণ পানির ড্রপ (ন্যাজাল ড্রপ) ব্যবহার নিরাপদ। বাল্ব সাকার বা পাম্প দিয়ে নাক পরিষ্কার রাখতে হবে।
জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল খাওয়ানোই উত্তম হবে। মধু মিশ্রিত কুসুম গরম পানি ও স্যুপ খাওয়ালে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া অ্যান্টিহিস্টামিন সিরাপও ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঠাণ্ডার অ্যালার্জি
বেশি সংবেদনশীল বা সেনসিটিভ শিশুদের সাধারণত শীত এলেই বারবার ঠাণ্ডার লক্ষণ দেখা দেয় অথবা সম্পূর্ণ শীতকাল জুড়েই ঠাণ্ডা লেগে থাকে, যাকে কোল্ড অ্যালার্জি বা শীতকালীন সংবেদনশীলতা বলা যেতে পারে।অনেক বয়স্ক ব্যক্তিও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বা শীতজুড়ে অসুস্থ থাকেন। এর বেশিরভাগ হয়ে থাকে কোল্ড অ্যালার্জির বা ঠাণ্ডার অ্যালার্জির কারণে। শীতকালে আর্দ্রতা কম থাকে, আবহাওয়া ও বাতাস শুষ্ক ও ঠাণ্ডা থাকে। এ সবই সংবেদনশীলতার উদ্রেক করে বলে ঠাণ্ডা লেগে যায়। এ কারণে হাঁচি, কাশি, সর্দি ইত্যাদি দেখা দেয়। প্রচণ্ড শীতে ঠাণ্ডা বাতাস অনেকের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে এবং এ কারণে সৃষ্ট উপসর্গকে কোল্ড অ্যালার্জি বলা হয়।
তাই ঠাণ্ডা বাতাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মাস্ক বা মুখবন্ধনী ব্যবহার করা যেতে পারে, যেটা করোনা চলাকালীন সময়ে সবাই ব্যবহার করছি। সালবিউটামল ইনহেলার নেওয়া যেতে পারে, কারণ এই ওষুধ শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিরসনে কার্যকর। দীর্ঘমেয়াদি ভালো থাকার জন্য মনটিলুকাস ট্যাবলেট খেতে হয়।