রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

২৫-১১-২০২৩

বাত ব্যথার কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা

সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে প্রথাগত ধারণা রয়েছে যে শুধু মাত্র গিটে গিটে ব্যথাই বোধ করি বাত ব্যথার একমাত্র লক্ষণ এবং আরেকটি বদ্ধমূল ধারণা এই বাত রোগ এটি শুধুমাত্র প্রবীণ বা বয়স্কদেরই হয়ে থাকে, অন্য কারো নয়। এই লেখায় শিশু থেকে প্রৌঢ় সকল বয়সে বাত ব্যথার বয়স ভিত্তিক কারণ বিশ্লেষণ, ব্যথাসহ আরো যে বিচিত্র ধরণের লক্ষণাদি হয়ে থাকে সেগুলো উল্লেখপূর্বক এসব জটিল রোগের আধুনিক চিকিৎসা ও সেগুলোর প্রাপ্যতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
প্রথমে এটা জানা প্রয়োজন যে বাতবিজ্ঞান ( রিউমাটোলজির) ভিত্তিকি? এক কথায় বললে, এটি কঠিন শোনাবে তাই একটি সাধারণ বিষয় আগে বলে নেই, মানব শরীরে বহিরাগত কোন রোগ জীবাণু যেমন, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করলে, শরীরের প্রহরীকোষ বা বিপদসংকেত ব্যবস্থা সেটি টের পায় এবং এসবের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে রক্তে “এন্টিবডি” নামে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি করে যা এসব জীবাণু কোষ বা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে আমাদের এসব ইনফেকশন বা সংক্রামক ব্যধি থেকে রক্ষা করে। এখন জীবাণু প্রতিরোধী এসব উপকারী এন্টিবডি শুধুমাত্র শরীরে প্রবেশকৃত শত্রুর বিরুদ্ধে ক্রিয়াশীল থাকার কথা। কিন্তু জিনগত ত্রুটির কারণে বা শরীরে কোন দীর্ঘমেয়দি দূষক বা জীবাণু প্রবেশের ফলে উপকারী ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই ধরনের এন্টিবডিগুলো শরীরের সুস্হ কোষ যেমন, অস্থিসন্ধি, মেরুদন্ড, রক্তনালী, স্নায়ু, লালাগ্রন্থি, ফুসফুস, কিডনি, ত্বক এমনকি মস্তিষ্ক ও চোখ আক্রমণ করে এবং প্রদাহ তৈরি করে। এই প্রদাহের ফলেই মূলত গিটে ব্যথাসহ অন্যান্য লক্ষণ তৈরি হয়। এর ফলেই অস্থি সন্ধির নড়ন ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং সেখানে আনুষঙ্গিক গাঠনিক উপাদান হিসেবে যে লিগামেন্টগুলো থাকে সেগুলোতেও প্রদাহ ছড়িয়ে পড়ে। এরুপ ঘটনাকে বলে অটোইমিউন রোগ বা শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজের বিরুদ্ধে নিজেই কাজ করে ধ্বংসলীলা ঘটাচ্ছে এবং অঙ্গ সমূহে অতিরিক্ত প্রদাহ সৃষ্টি করার মাধ্যমে ব্যথা সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে শারীরিক কষ্ট বা লক্ষণ সৃষ্টি করে।
অটোইমিউন কারণে সৃষ্ট বাতরোগ গুলোর নাম, বয়স ও লক্ষণ জেনে নেই-

¤ গেঁটেবাত বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হাত-পা- কব্জি বা গোড়ালী সন্ধি গুলোর ব্যথা থাকে জোড়ায় জোড়ায়,
ধীরে ধীরে হাত-পা নড়াচড়া করে সচল করলে ব্যথা হ্রাস পায়। এছাড়াও হাত-পা এ ঝি-ঝি অনুভূতি হতে পারে, চোখে প্রদাহ বা লাল হতে পারে, এমন কি করোনারী প্রদাহের ফলে হৃদরোগ পর্যন্ত হতে পারে।
এই রিউমাটয়েড বাত কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী থেকে মধ্য বয়স বা বৃদ্ধ বয়স যেকোন বয়সে হতে পারে। আবার কৈশোরে এই বাত হলে একে বলে জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস।

¤ রিউমাটিকজ্বরবাবাতজ্বর-শিশু বয়সে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা গলা ব্যথার ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন থেকে ভুল ভাবে এন্টিবডি তৈরি হয়ে যে জ্বর হয় এবং এর ফলে বিশেষ ধরনের যে গিটে ব্যথা হয় তাকে বলে বাতজ্বর বলে। এটি কিন্তু রিউমাটয়েড বা গেঁটেবাতের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এর ফলে হার্ট ভালবের সমস্যা বা কিডনি জটিলতা হতে পারে।

¤ এঙ্কাইলো জিংস্পন্ডিলাইটিস- কোমরের মেরুদন্ডের প্রদাহজনিত বিশেষ বাত বা কটিবাত। এটি যুবক বয়সে ২০-৩০ বছর বয়সী পুরুষদের কোমর ব্যথার কারণ যা বিশ্রাম নিলে বেড়ে যায় এবং পরিশ্রম করলে হ্রাস পায়।

¤দীর্ঘ মেয়াদি আমাশয় বা যৌন বাহিত ইনফেকশন জনিত বাত- পরিপাকনালীর প্রদাহের ফলে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া বা ইনফেকশন জনিত আমাশয়ের পরে এক ধরনের বাত সৃষ্টি হয়। আবার, যৌন বাহিত ইনফেকশন যেমন, গনোরিয়ার পর একই ধরনের গিটে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে।

¤চর্মরোগ জনিত বাত- ত্বকের বিশেষ প্রদাহ বা চুলকানি জনিত রোগ সোরিয়াসিস এর ফলেও বাত সৃষ্টি হয়ে গিটে ব্যথা হতে পারে।

¤ লুপাস বা নারীদের বিশেষ বাত- গিটে ব্যথা সহ সূর্যালোকে বাইরে গেলে মুখে-গালে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, মুখের ঘা,চুল পড়া, বারবার সন্তান গর্ভধারণ হলেও দু-তিনমাস পর গর্ভপাত হয়ে যাওয়া, কিডনীর সমস্যা এসব বিচিত্র লক্ষণ নিয়ে নারীদের যে বাত হয়, তাকে লুপাস বলে।

¤ এন্টি ফসফোলিপিড সিনড্রোম- বারবার সন্তান গর্ভধারণ হলেও দু-তিনমাস পর গর্ভপাত হয়ে যাওয়া, পা এর ত্বকে বিশেষ ধরনের ঘা সহ অতিরিক্ত রক্ত জমাট বেঁধে যাবার প্রবণতা দেখা যায়।

¤ সিস্টেমিক স্ক্লেরোসিস- হাত-পা-মুখের ত্বক টানটান হয়ে শক্ত হয়ে যাওয়া, ফুসফুসের প্রদাহ হয়ে করোনার মতো ফুসফুস শক্ত হয়ে যাওয়া, কিডনি সমস্যা সহ যে বাত হয় তা সিস্টেমিক স্ক্লেরোসিস বলে।

¤ জোগ্রেন সিনড্রোম- মুখের লালা শুকিয়ে যাওয়া, চোখের পানি-ঘাম এসব প্রাকৃতিক তরল শুকিয়ে গিয়ে শুষ্কতা জনিত যে বাত হয় তাকে বলে জোগ্রেণ রোগ।

¤ ডার্মাটো মায়োসাইটিস বা পলিমায়োসাইটিস- ত্বক বা মাংস পেশীর প্রদাহ হয়ে ত্বকে বিশেষ ঘা দেখা যায় এবং শরীরের পেশীতে ব্যথা হয়ে এই বাত হয়।

এরুপ অটোইমিউন কারণ ছাড়াও-
●শরীরের বিশেষ পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়ে হাড় ক্ষয় হয়ে বাত ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে যেমন, অস্টিওপরোসিস। একারণে শুধু যে ব্যথা হচ্ছে তা নয় হাত-পাঝি-ঝিকরা, জ্বালা পোড়া হওয়া, নিদ্রাহীণতা এমন কি স্মৃতি ভ্রংশ পর্যন্ত হতে পারে।
●আবার বিশেষ ধরনের বর্জ্য পদার্থ যেমন ইউরিক এসিড শরীর থেকে নিষ্কাশন না হতে পারার জন্য বর্জ্য পদার্থ অস্থি সন্ধিতে জমা হয়ে বাতের কারণ হতে পারে । এক্ষেত্রে খাদ্যভ্যাসও দায়ী যেমন, অতিরিক্ত ডাল, বিচিজাতীয় খাবার, সামদ্রিক খাবার, গরুর মাংস গ্রহণের ফলে ইউরিক এসিড সৃষ্টি হয়। যেমন, গাউট
●আবার, সাধারণভাবে মেরুদন্ডসহ যে কোন অস্থি সন্ধিতে আঘাত বা অতিরিক্ত ভারত্তলোন বা অবস্থান গত ত্রুটির জন্য স্বাভাবিক নড়াচড়া বাধা গ্রস্ত হয়ে, দুই হাড়ের মধ্যবর্তী নরম ডিস্ক সরে গিয়ে বা লিগামেন্টে প্রদাহ সৃষ্টি হয়েও বাত ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, পিএলআইডি (সায়াটিকা) বা টেনডিনাইটিস বা বার্সাইটিস। এর ফলে পায়ের রগ বা স্নায়ু সমস্যা হতে পারে যেমন, রগে টান অনুভূত হওয়া, ঝিনঝিন করা বা পিন ফোটানোর মতো অনুভূতি।
●আবার, বয়স জনিত কারণে বা অতিরিক্ত স্হূলতা বা ওজনের কারণে দুটি হাড়ের মধ্যবর্তী আঠালো তরল শুকিয়ে গিয়ে হাড়ের মধ্য ঘর্ষণ সৃষ্টি হয় এবং হাড়ের উপরে থাকা নমনীয় তরুণাস্থি ক্ষয় হয়ে যে বাত হয় তাকে বলে অস্টিও আর্থ্রাইটিস।
●আবার, ডায়াবেটিস জনিত কারণে কাঁধের বাত ফ্রোজেন শোল্ডার হতে পারে।
তাহলে, এটা পরিষ্কার যে, যে কোন বয়সেই বাত রোগ হতে পারে এবং গিটের ব্যথা ছাড়াও হরেক রকমের কষ্ট দায়ক লক্ষণ হতে পারে এসব রোগে।

বাত রোগের আধুনিক চিকিৎসা:
বাত রোগের চিকিৎসা প্রথাগতভাবে স্টেরয়েড ধরনের ব্যথা নাশক প্রয়োগ আর মুখে খাওয়ার সাধারণ প্রদাহ বিনাশী বড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। আধুনিক রোগ নির্ণয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে যেমন রক্ত পরীক্ষাও ডিএনএপিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে এসব রোগ এখন আর অজানা থাকছে না, সম্পূর্ণ ডায়াগনসিস করা সম্ভব হচ্ছে, তেমনি এখন আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে রোগ লক্ষণ প্রশমিত করা সম্ভব। এছাড়াও সহযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থা হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি (হস্তগত ব্যায়াম ও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত মেশিনের মাধ্যমে আক্রান্ত অস্থি সন্ধি কে নমনীয় করা হয়) প্রয়োগ করে বাত উপশম করা যায়। পাশাপাশি বাত প্রতিরোধে খাদ্যাভাসের একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে যেমন: ১) হলুদ বা কিউকারমিন; ২) আদা; ৩) গ্রীণ টি বা ক্যাটেকিন; ৪) আনারস;
৫) চেরিফল বা এর রস; ৬) টক ফল মাল্টা, কমলা, লেবু; ৭) যেকোন বেরি যেমন, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, মালবেরি; ৮) গাজর; ৯) অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল; ১০) মোটা শস্য বা হোল গ্রেইন বা ওটস। এগুলো বাত বা প্রদাহ প্রতিরোধী খাবার হিসেবে গবেষণায় প্রমাণিত।

আধুনিক চিকিৎসা বলতে যা বোঝানো হচ্ছে-
ক) বায়োলজিক চিকিৎসা- সাধারণ বাংলায় বললে, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। এর অর্থ যেসব এন্টিবডি রক্তে বেশি মাত্রায় থাকার ফলে অটোইমিউন বাত রোগ হচ্ছে সেসব এন্টিবডির বিরুদ্ধে মনোক্লোনাল এন্টিবডি প্রয়োগ করে রক্তে থাকা ক্ষতিকর বাত সৃষ্টিকারী এন্টিবডি ধ্বংস করা হচ্ছে। এগুলো বিশেষ ধরনের ব্যথা মুক্ত ইনজেকশন রাত্বকের নিচে বা শিরা পথে দিলে রোগ উপশম হচ্ছে।
খ) পিআরপি- আঘাত জনিত বা বয়স জনিত অস্টিও আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবেটিস জনিত কাঁধের ব্যথায় যুগান্তকারী চিকিৎসা পিআরপি। রোগির রক্ত থেকে ছাঁকনকৃত রক্তের হলুদ অংশের মধ্যে যে অনুচক্রিকা থাকে সেটিকে পৃথক করে, এই হলুদ তরলটি আক্রান্ত অস্থি সন্ধির মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। রক্তের অনুচক্রিকার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান বা গ্রোথ ফ্যাক্টর ক্ষয় হয়ে যাওয়া অস্থি সন্ধির পুনর্জাগরণের খাদ্য হিসেবে কাজ করে ব্যথা নিরাময় করে।
গ) স্টেমসেল থেরাপি- ক্ষয়িষ্ণু অস্থি সন্ধিকে আবার পুনর্জাগরণী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সচল করা সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল গবেষণা স্টেম সেলকে ঘিরে। রোগীর অস্থিমজ্জা বা চর্বির মধ্যে জমে থাকা স্টেম কোষ বা মাতৃকোষ গুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছাঁকন করে সেই বিশুদ্ধ স্টেম সেল তরল আকান্ত অস্থি সন্ধি বা অঙ্গে প্রতিস্থাপন করলে সেই অঙ্গে নতুন ভাবে কোষ বিভাজনের ফলে আক্রান্ত অস্থি সন্ধি পুনরায় নড়ন ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে।
ঘ)হায়ালুরনিক জেল চিকিৎসা- দুটো হাড়ের ঘর্ষণ প্রতিরোধী আঠালো তরল হলো হায়ালুরনিক এসিড। প্রাকৃতিক তরল শুকিয়ে গেলে যে বাত ব্যথা হয়, তা উপশমের জন্য, সেখানে পুনরায় সেই হায়ালুরনিক জেল প্রতিস্থাপন করা হয়, এর ফলে আন্ত:হাড় ঘর্ষণ হয় না, এতে ব্যথা নিরাময় হয়।
ঙ) প্রো-বায়োটিক থেরাপি: বলা হয়ে থাকে, সচল অটোইমিউন বাতের উৎস পরিপাকনালীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার আধিক্য আর উপকারী ব্যাকটেরিয়া হ্রাস পাওয়া। তাই, উপকারী ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে গ্রহণের মাধ্যমে রক্তে এন্টিবডি তৈরির প্রবণতা কমানো যায়।

এই সমস্ত আধুনিক চিকিৎসা গুলোর কোনটি কোন ধরনের রোগীর জন্য প্রযোজ্য তা রোগীর রোগের অবস্থা, জটিলতা ও অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করবেন একজন ইন্টারভেনশনাল রিউমাটোলজিস্ট। তাই, বিচলিত না হয়ে বাত রোগের যেকোন লক্ষণ অনুভব করলেই পরামর্শ নিন একজন রেজিস্টার্ড বাত ব্যথা বিশেষজ্ঞের।

লিখেছেন-
ডা. মন্জুর এ খোদা
এমবিবিএস (আর ইউ), এমআরসিপি (লন্ডন, ইউ্কে)
ইউলার ইসিআরডি ইন রিউমাটোলজি, সুইজারল্যান্ড।
ইর্ন্টানাল মেডিসিন ও রিউমাটোলজি (বাত) বিশেষজ্ঞ।
এক্স স্পেশালিস্ট, ইউনাইটেড হসপিটাল, গুলশান, ঢাকা
হেড অব রিউমাটোলজি, বেটারলাইফ হাসপাতাল, রামপুরা, ঢাকা
ইন্টারভেনশনাল রিউমাটোলজিস্ট, টটিসেল, ঢাকা
কনসালটেন্ট, পপুলার ডায়াগনস্টিকস, ঢাকা ও রাজশাহী।

এই পাতাটি ২০৬বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626