রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

শীতে শিশুর গোসল সম্পর্কে কিছু জানি

২২-১১-২০২৩

শীতে শিশুর গোসল সম্পর্কে কিছু জানি

শীত নবজাতক ও শিশুদের জন্য প্রতিকূলই বলা চলে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বাইরের পরিবেশ সহনীয় না হলে এ সময় শিশুর ঠাণ্ডা লাগাসহ নানা রকম শীতকালীন সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে গোসল করানো খুব জরুরি।
কিন্তু শীতের দিনে প্রতিদিন গোসল করালে যেমন ঠাণ্ডা লাগার ভয় থাকে, আবার না করালে শিশুর শরীরে ঘাম জমে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ, চুলকানি, ফুসকুড়ি, ত্বকে শুষ্কতা ও খসখসে ভাব এমন কি বিভিন্ন চর্মরোগও হতে পারে।

নিয়মিত গোসল করানো উচিত
শিশুর যদি অন্য কোনো সমস্যা না থাকে, তবে তাকে নিয়মিত গোসলে কোনো বাধা নেই। গোসলের কারণে শিশুর ত্বকের কোমলতা বাড়ে, ত্বক আর্দ্র থাকে। গোসলের ফলে ত্বকের ময়লাও দূর হয়। অনেকেই শীতে শিশুকে নিয়মিত গোসল করান না। এতে শিশুর ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে। এর মধ্যে পুঁজও জমতে পারে।
শিশু জন্ম নেওয়ার পর তিন দিন পর্যন্ত গোসল না করানো উচিত। এরপর প্রতিদিন গোসলে কোনো সমস্যা নেই। তবে নবজাতকদের শূন্য থেকে এক মাস পর্যন্ত সপ্তাহে দু’দিন গোসল করানো উচিত। এক মাস বয়স থেকে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানো ভালো। গোসলের আগে শিশুকে কিছুক্ষণ রোদে রাখা ভালো।

ঠাণ্ডা না কি কুসুম গরম পানি
শিশুর গোসলের পানি নিয়েও কম প্রশ্ন নেই মায়েদের মনে। শিশুর জন্য ঠাণ্ডা পানি ভালো নাকি কুসুম গরম এটা নিয়েও উত্কণ্ঠায় ভোগেন তাঁরা। শীতকালে শিশুর গোসলের পানির তাপমাত্রা সহনীয় ও আরামদায়ক হতে হবে। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ও পানির তাপমাত্রা সমান রাখতে হবে। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের লোমকূপের মুখ খুলে যায়। ত্বকের টক্সিক উপাদান, মৃত কোষ দূর হয়। পাত্রে পানি নিয়ে রোদে রেখে দিয়ে উষ্ণতা আনতে পারেন।

সাবান ও শ্যাম্পু
বড়দের সাবান ও শ্যাম্পু শিশুর বেলায় ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এতে ক্ষারীয় উপাদান বেশি থাকে। শিশুদের জন্য বাজারে বেবি সোপ ও মাইল্ড শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এতে ক্ষারের পরিমাণ অনেক কম থাকে। এগুলো শিশুদের ত্বকে বেশি উপযোগী। তাই শিশুর গোসলে বেবি সোপ ও মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় গ্লিসারিন যুক্ত সাবান দিয়ে গোসল করানো। একদিন পরপর সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। এতে শিশুর গায়ে ও চুলে ময়লা জমবে না।

গোসল-পরবর্তী যত্ন
শীতে বাতাসের আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। এতে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। খসখসে ভাব দেখা যায়। এ জন্য শিশুর ত্বক আর্দ্র রাখতে হবে। গোসল শেষে নরম তোয়ালে দিয়ে শিশুর শরীর মুছে দিতে হবে। এরপর ত্বক আর্দ্র থাকতেই গায়ে লোশন মাখিয়ে দিতে হবে। এতে শীতের শুষ্কতা থেকে রেহাই পাবে সোনামণিদের ত্বক। এরপর দ্রুত শিশুকে শীতের পোশাক পরাতে হবে।

যাদের জন্য সতর্কতা
শিশুর ঠাণ্ডা লেগে থাকা, নিউমোনিয়ার লক্ষণ, নাক দিয়ে পানি পড়া, অল্প ওজন নিয়ে জন্মানো এমন সমস্যা থাকলে প্রতিদিন গোসল করানো উচিত নয়। যেদিন খুব বেশি কুয়াশা বা ঠাণ্ডার প্রকোপ থাকে সেদিন শিশুদের গোসলের পানি উষ্ণ গরম করে নিয়ে কম সময়ে গোসল করিয়ে ফেলতে হবে। বাথরুম সাধারণত একটু বেশি ঠাণ্ডা ও স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। তাই শিশুকে এখানে গোসল না করিয়ে বারান্দায় বাথটাবে বা গামলায় গোসল করাতে হবে।
গোসলের সময় শিশুর কানে যাতে পানি না ঢোকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খুব বেশি শীতে গোসল না করিয়ে গরম পানিতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে সারা শরীর মুছিয়ে দিতে পারেন।

তথ্য সূত্রেঃ কালের কণ্ঠ

এই পাতাটি ১৬২বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626