শীতে শিশুর ত্বকের সঠিক যত্ন -> ডাঃ জাহেদ পারভেজ, সহকারী অধ্যাপক, ত্বক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
শীতে কম বেশি সবাই শীত জনিত নানা জটিলতায় ভোগে। এই সময় শিশুরাও ত্বকসহ সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয়। এর মূল কারণ শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলা বালির প্রভাব। তবে বিশেষ পরিচর্যা এবং একটু বাড়তি যত্ন নিলে তারা ভালো থাকতে পারে। এ জন্য অভিভাবকদের কিছুটা সচেতন থাকতে হবে।
ঠাণ্ডা বাতাস ও ধুলা বালি থাকুক দূরে
শিশুদের ঠাণ্ডা বাতাস ও ধুলা বালি থেকে দূরে রাখতে হবে। যেহেতু শীতে এ রোগ গুলো সংক্রমিত হয়, তাই জনসমাগমপূর্ণ জায়গায় না যাওয়াই ভালো। তাদের গামছা, রুমাল, তোয়ালে প্রভৃতি আলাদা হতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তি বা হাঁচি-কাশি থেকে দূরে রাখতে হবে। স্কুলে বা বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করার অভ্যাস করাতে হবে। ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা হলে আদা-লেবু চা, গরম পানিতে গড়গড়া করা, মধু, তুলসী পাতার রস প্রভৃতি খাওয়ানো যেতে পারে। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গরম পানি ব্যবহার করান
শীতের এই সময়ে শিশুদের হালকা কুসুম গরম পানি পান করানো ও ব্যবহার করানো উচিত। গোসলের হালকা গরম পানির সঙ্গে নিম পাতা মিশিয়ে গোসল করানো যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দাঁত ব্রাশ করা, হাত-মুখ ধোয়া, খাওয়া সহ নানা কাজে শিশুরা হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকবে। শীতেও শিশু কে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোসলের সময় শরীরের কাছাকাছি তাপমাত্রার হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভালো।
নবজাতক কিংবা ঠাণ্ডার সমস্যা আছে এমন শিশুর ক্ষেত্রে গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দেওয়া যেতে পারে। অনেকে শিশু কে বেশি করে সরিষার তেল মাখিয়ে গোসল করান। এতে গোসল শেষেও শিশুর চুল ভেজা থাকে এবং ঠাণ্ডা লাগে।
শীতের জামা পরান
শিশুদের অবশ্যই সুতি কাপড়ের গরম জামা পরিয়ে রাখা উচিত। তবে সরাসরি উলের পোশাক পরানো ঠিক নয়। এতে উলের ক্ষুদ্র লোমে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। সুতি কাপড় পরিয়ে তার ওপর উলের পোশাক পরানো উচিত এবং পোশাক টি যেন নরম কাপড়ের হয়। কারণ খসখসে বা শক্ত কাপড়ে শিশুদের নরম ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে হালকা শীতে শিশুদের গরম পোশাকটি খুব বেশি গরম কাপড়ের হওয়া উচিত নয়। কারণ খুব বেশি গরম কাপড় পরালে গরমে ঘেমে শিশুর ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে। শিশুদের রাতে ঘুমানোর আগে হালকা ফুলহাতা গেঞ্জি পরিয়ে রাখুন এবং সকালে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ও বিকেলের দিকটাতে হালকা শীতের পোশাক পরিয়ে রাখুন।
খাবার দাবার
শীতের সময় শিশুদের খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। ফলে তাদের শরীর খারাপ হয়ে যায়। তাদের ঘনঘন পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। শিশুদের ত্বকের মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে ডিমের কুসুম, সবজির স্যুপ ও ফলের রস খাওয়ানো উচিত। বিশেষ করে গাজর, বিট, টমেটো শিশুদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতে পারেন। শিশুরা এ সময় যেন কোনো ধরনের ঠাণ্ডা খাবার না খায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অ্যালার্জির সমস্যা হয় এমন খাবার পরিহার করুন।
ত্বকের যত্ন নিন
শিশুদের ত্বক বড়দের থেকে অনেক বেশি সেনসিটিভ। তাই তাদের ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। শিশুর মুখে ও সারা শরীরে বেবি লোশন, বেবি অয়েল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এ সময় শিশু রক্তরোগ ও ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলা উচিত।
রাজডক কী? ফ্রী সদস্য হোন
Click Here
ডাক্তার হিসাবে যোগদান করতে Click Here স্বাস্থসেবা সংক্রান্ত তথ্য পেতে কল করুন 01753226626 নম্বরে (সকাল ১০টা থেকে রাত ৬টা)
রাজডক কী? ফ্রী সদস্য হোন
Click Here
ডাক্তার হিসাবে যোগদান করতে Click Here স্বাস্থসেবা সংক্রান্ত তথ্য পেতে কল করুন 01753226626, 01311336757 নম্বরে (সকাল ১০টা থেকে রাত ৬টা)