সময়ের সাথে সাথে মানুষের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন না করলে, এমন একটি সময় সামনে আসছে যেখানে প্রতিটি ঘরে অথবা পরিবারে এক দুইজন ক্যান্সার পেসেন্ট থাকবে । আর এই পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে আমাদের সকলেরই উচিৎ অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা এবং সেই সাথে প্রাথমিক পরীক্ষার মধ্যে থাকা। বয়স ৪০ অথবা বেশি হলেই বছরে একবার হলেও আপনার উচিৎ হবে স্ক্রিনিং করে জেনে রাখা আপনার শারীরিক বর্তমান পরিস্থিতি/অবস্থা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যারা একটু বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন ? যাদের পারিবারিক ক্যান্সার এর ইতিহাস রয়েছে। মনে রাখবেন ক্যান্সার রোগটির বিস্তার অথবা প্রসার ৮০-৮৫ % হয়ে থাকে জেনেটিক / জীনগত কারনে অতএব, বুঝতেই পারছেন আমাদের কিভাবে সামনের পথ অগ্রসর হতে হবে।
বর্তমানে সামান্য একটি রক্ত পরিক্ষার মাধ্যমে দুই বছর আগেই আমরা জানতে পারি আমাদের শরীরে কোন পরিবর্তন হতে যাচ্ছে কিনা অথবা কোন ক্যান্সার সেল তৈরি হতে চলেছে কিনা, যার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ এই ক্যান্সার এর ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে পারি। তবে যাদের পারিবারিক পূর্বেকার ক্যান্সার এর ইতিহাস আছে তাঁদেরকে অবশ্যই এই পরিকল্পনা মাফিক পথ চলার চেষ্টা করা উচিৎ। সময়ের প্রেক্ষাপটি এমন বর্তমানে কোন পরিবারে কেহ ক্যান্সার নামক রোগে আক্রান্ত হলে সবথেকে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় যেভাবে পড়তে হয়।
-কোন ধরনের ডাক্তার কে দেখাবেন ?
-কোথায় এবং কোন হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট করাবেন
-টেস্ট কোথায় করাবেন
-চিকিৎসা কি দেশে না বিদেশে করাবেন
প্রথমেই বলে রাখা ভাল; ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন প্রকার বাজেটের আওতায় আপনি তাকে রাখতে পারবেন না কারন এটা এক মাস থেকে শুরু করে এক বছর অথবা আরও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলমান হতে পারে। বেশ কিছু ধাপের মাধ্যমে এই চিকিৎসা চলমান থাকে আর সেই ধাপগুলি একের পরে এক শুরু হয়। আমাদের দেশের মানুষের এই বিষয়ে নূন্যতম ধারণা তো নেই এমন কি অনেক ডাক্তার সাহেবদের ও নেই, যার পরিপ্রেক্ষিতে কি হয় মানুষ পরিচিত ডাক্তার, প্রতিবেশী, আত্মীয়, পাড়ার কেউ অমুক ডাক্তার এর চিকিৎসায় ভালো হয়েছিল, কেউ হয়তো বলে দিল ভারতে চলে যাও কিন্তু এই ভারত দেশটি অনেক বড় কোথায় যাবেন ?
এইসব কথা শুনে এবং বিশ্বাস করে সেই সাথে ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে আপনি আপনার সমস্যা নিয়ে পোস্ট দিলেন আর তখন যারা কমেন্টস করে তাঁরা কেউই ডাক্তার নয়, হয়তো তেমন কিছু জানেন ও না অথচ একজন ডাক্তার / হাসপাতাল সাজেস্ট করে বসলেন। আর এখানেই হল আমাদের সমস্যা আমরা বিশ্বাস নিয়ে সেখানে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হয়ে আসছি প্রতিনিয়ত!!
মানুষ প্রতিনিয়ত নানান ভাবে প্রতারিত হয়ে হয়তো ভুল হাসপাতাল /ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন, ফলে কি হয় সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত না নিতে পারায় চিকিৎসা ও ভুল হয়। কিছু হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করার কারনে রোগের বিস্তার ঘটছে তারই ফলশ্রুতিতে এই ক্যান্সার রোগটি এমনই এক পর্যায় চলে যাচ্ছে যে পরে আর কিছুই করার থাকেনা !!
আপনার একটি ভুল সিদ্ধান্তই হতে পারে আপনার একান্ত আপনজনের জীবন প্রদীপ নিভে যাবার কারণ।
সকল ক্যান্সার রোগীর সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করুন নিজের বুদ্ধি খাটান এবং যত দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা শুরু করা যায় সেই চেষ্টা করুন।।
প্রাথমিক পর্যায় যারা থাকেন তাঁদের প্রতি অনুরোধ ক্যান্সার চিকিৎসা প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো সম্ভব নয়, এমনকি সেই ধরনের ডাক্তার ও নেই তাই কোন প্রকার লক্ষ্মণ পরিলক্ষিত হবার সাথে সাথে বড় শহরে আসুন সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিক্ষা নীরিক্ষা করে জানুন সঠিক অবস্থা এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা যত দ্রুততম সময়ে সম্ভব শুরু করুন সেটা দেশে অথবা বিদেশে। মনে রাখবেন আপনি বসে থাকবেন কিন্তু এই ক্যান্সার নামক ব্যাধি টি কিন্তু কখনো ঘুমিয়ে থাকবেনা সে প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর গতি নিয়েই এগিয়ে যাবে। সময় নস্ট, ভুল সিদ্ধান্ত, ভুল ডাক্তার, ভুল হাসপাতাল, চিকিৎসার দেরি এইসব সকল দিক বিবেচনায় আপনার সামনের চলার পথকে সহজ করে করে তুলবে !!
সকল ক্যান্সার রুগী যেন সঠিক চিকিৎসা যথাযথ সময়ে পায়।
রাজডক কী? ফ্রী সদস্য হোন
Click Here
ডাক্তার হিসাবে যোগদান করতে Click Here স্বাস্থসেবা সংক্রান্ত তথ্য পেতে কল করুন 01753226626 নম্বরে (সকাল ১০টা থেকে রাত ৬টা)
রাজডক কী? ফ্রী সদস্য হোন
Click Here
ডাক্তার হিসাবে যোগদান করতে Click Here স্বাস্থসেবা সংক্রান্ত তথ্য পেতে কল করুন 01753226626, 01311336757 নম্বরে (সকাল ১০টা থেকে রাত ৬টা)