রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

ডায়াবেটিস রোগীর করোনা

১৮-০৯-২০২১

ডায়াবেটিস রোগীর করোনা

ডায়াবেটিস মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নড়বড়ে করে দেয়। ফলে মানবদেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা কমে যায়। এ সুযোগে ভাইরাস শরীরকে কাবু করে ফেলে। এ কারণেই ডায়াবেটিস রোগীরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। করোনায় সংক্রমিত হলে জটিলতার আশঙ্কাও তাঁদের বেশি।

করোনায় কেন চিনির লাগামহীন মাত্রা:
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রক্তের চিনির মাত্রাকে লাগামহীন করে দেয়। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। করোনা শরীর ও মনের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। শারীরিক ও মানসিক এই চাপের কারণে রক্তে হু হু করে বেড়ে যায় স্ট্রেস হরমোন, যার নাম করটিসল। এটি চিনির মাত্রা বৃদ্ধির নেপথ্যে কাজ করে। তা ছাড়া ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রাসায়নিক উপাদান শরীরকে এলোমেলো করে দেয়। চিকিৎসকেরা এটাকে বলেন সাইটোকিন স্টর্ম। এসব রাসায়নিক উপাদান বাড়িয়ে দেয় চিনির মাত্রা। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় স্টেরয়েড–জাতীয় ওষুধ। এটিও ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণহীন করে। ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়। আগে থেকে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে বা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা যদি কেউ বন্ধ রাখেন কিংবা অপর্যাপ্ত ওষুধ খান, তাহলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।

করণীয়:
চিনির অনিয়ন্ত্রিত মাত্রা কোভিডের জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে মহামারির সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে পরিমাণমতো ফল খেতে হবে। আবার ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অনেক ধরনের ওষুধ কোভিডের কারণে বদলে ফেলতে হয়। এতে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। বিশেষত, যাঁদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, তাঁদের এমন হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সালফোনাইলইউরিয়া গ্রুপের ওষুধ রোগীর রক্তে গ্লুকোজ বেশ কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই করোনায় সংক্রমিত হলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, পরামর্শ নিন।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলোর দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। এ সময় ইনসুলিন দিয়ে চিকিৎসা করা সবচেয়ে নিরাপদ। তবে অবশ্যই রক্তের চিনির মাত্রা নিয়মিত তদারক করে ইনসুলিনের ডোজ ঠিক রাখা জরুরি।

এই পাতাটি ৩১৯বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626