পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অথবা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিংকে মেডিকেল টার্মে মেনোরেজিয়া বলা হয়। আরো বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত ঘটলে অথবা মাসিক যদি নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দিন চলতে থাকে। মেনোরেজিয়া খুবই পরিচিত এক সমস্যা। অনেক মেয়েই এই সমস্যায় কষ্ট পায়। লজ্জায় অনেকেই বলতে চায়না। চিকিৎসকের কাছে যেতেও অনেকের অনীহা। অথচ এর ভাল চিকিৎসা আছে। তাই সচেতনতা দরকার। ২০-৪০ বছর বয়সে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
কারন:
১। হরমোন জনিত সমস্যা দেখা দিলে
২। জরায়ুতে ফাইব্রয়েড টিউমার বা ক্যান্সার থাকলে থাকলে
৩। থাইরয়েড ডিজিজ থাকলে
৪। রক্তের অসুখ থাকলে
৫। জরায়ু এবং ডিম্বনালীতে জীবাণুর সংক্রমণ হলে
৬। ভ্যাজাইনাল সিস্ট বা জননাঙ্গে সিস্ট থাকলে
৭। ওভারিয়ান বা সারভাইকাল ক্যান্সার হলে
৮। কিডনির অসুখে
৯। যকৃতের অসুখে
চিকিৎসা:
যেহেতু অনেক কারণে এটা হতে পারে, আপনার ক্ষেত্রে কোন কারণ এর জন্য দায়ী তা আইডেন্টিফাই করা প্রয়োজন। আপনার রোগের পূর্ণ ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং কিছু ইনভেস্টিগেশন করার পরই আপনার রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।
মাসিক ঋতুস্রাব মেয়েদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণও বটে। মাসিক নিয়মিত ও সঠিকভাবে হওয়ার অর্থ হচ্ছে সে নারী সন্তান ধারণে সক্ষম। মেয়েদের এবং মায়েদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনা মাসিক নিয়ে বিদ্যমান। এক সময়ে মাসিককে অপবিত্র ও নোংরা বলে মনে করা হত। একসময় বেশি মাসিক হলে নোংরা রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হত। কিন্তু এই ধারণা ভুল। এরকম হলে বরং রক্তাল্পতা হয়ে নানা সমস্যা হয়। তাই এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কারণ বের করে চিকিৎসা নিতে হবে। সবাই সচেতন হলে এই সমস্যা অনেক কমে আসবে।