রাজশাহীতে উত্তর বঙ্গের অনেক মানুষই চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনে আসেন এবং নান রকম পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়ে থাকেন। নিজের এবং পরিবার সদস্যদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে রাজশাহীতে কম-বেশি আশার প্রয়োজন অনেকেরই হয়। এসব প্রয়োজনের মধ্যে অন্যতম একটি প্রয়োজন হলো অপারেশন রোগীর জন্য বা থেলাসিমিয়া রোগীর জন্য বা ভিন্ন কোনো চিকিৎসা প্রয়োজনে রক্তের সন্ধান। এই ধরণের প্রয়োজনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশান সেন্টার থেকে সাধারণ জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় রক্ত দেওয়া ও নেওয়ার কার্যক্রম, জমা রাখা ইত্যাদি কার্যক্রম হয়েছে।
রাজশাহী শহরে রাজশাহী মেডিকে কলেজ ছাড়াও আরও কোনো প্রতিষ্ঠান এধরণের সুবিধা দিয়ে থাকে কি না এই বিষয়ে বাহির থেকে আগত এমনকি স্থানীয়দের ভেতরেও অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না। যারা জানেন, তারা এরূপ তথ্য সবসময় সকলের কাছে তুলে ধরার ইচ্ছা প্রকাশও করেন না সব সময়। একারনে আমরা এমন ২টি সুনামধারী প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি তুলে ধরছি যাদের নিকট রক্ত তোলা ও জমা রাখার সুবিধাটি আছে।
১) রাজশাহী ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশান সেন্টার:
“রাজশাহী ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশান সেন্টার” রাজশাহী শহরের বড় একটি ব্লাড ব্যাংক। এটি রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর এলাকার পার্শ্ববর্তী কাজীহাটা, রাজপাড়ায় অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানে ব্লাড স্টোরেজ, এক্সচেঞ্জ, গ্রুপিং, ম্যাচিং, স্ক্রীনিং সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকছে। ব্লাড ট্রান্সফিউশান-এর জন্য তাদের আছে এসি কেবিন। আরও আছে ওয়ার্ড সুবিধা।
টেস্ট রেট বা চার্জ: ২) নিউ সেফ ব্লাড ব্যাংক:
রাজশাহী শহরে ব্লাড ব্যাংক হিসেবে খুব বড় না হলেও, “নিউ সেফ ব্লাড ব্যাংক” একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তাদের সেবা ও সুযোগ সুবিধার বিচারে, তারা অন্যান্য ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কিছুটা এগিয়ে। নিউ সেফ ব্লাড ব্যাংক রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর এলাকার পার্শ্বে ঝাউতলা মোড়, রাজপাড়াতে অবস্থিত। তাদের আছে ব্লাড স্টোরেজ, এক্সচেঞ্জ সার্ভিস, ক্রসম্যাচিং, গ্রুপিং, স্ক্রীনিং ও ডোনার ব্লাড চেক-আপ সুবিধা। এসকল সুবিধা তারা তুলনামূলক স্বল্প মূল্যে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন।
৩) বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল – ব্লাড ব্যাংক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এর পর মেডিকেল কলেজ হিসেবে ভালো পরিচিত চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ হিবেসে পরিচিত কোনো নাম যদি রাজশাহী শহরে শোনা যায়, সেটি বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এই প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। এটি ভদ্রা, পদ্মা আবাসিক এলাকা, ছোট বনগ্রাম, রাজশাহীতে অবস্থিত। এখানেও ব্লাড ব্যাংক এর সেবা সুবিধা রয়েছে। এখানে ব্লাড ব্যাংকের সেবা সমূহ সকাল ৮টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকে। তাদের সেবার তালিকায় থাকছে: ব্লাড স্টোরেজ, এক্সচেঞ্জ (সীমিত) ব্লাড ক্রিনিং: ৫টি ভাইরাস (হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, সিফিলিস, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি) গ্রুপিং, ক্রস ম্যাচিং টেস্ট রেট বা চার্জ:
এছাড়াও আরও কিছু ছোট বড় ব্লাড ব্যাংক রয়েছে যেগুলো হলো: ৪) ইসলামী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল – ব্লাড ব্যাংক (নওদাপাড়া), ৫) পুলিশ লাইন হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক (রাজশাহী পুলিশ লাইন) ৬) মাসকাটা দিঘী – ক্যান্সার হাসপাতাল – ব্লাড ব্যাংক
তবে উল্লেখ্য যে, এই নিচের সংক্ষিপ্ত পরিচিতির ব্লাড ব্যাংক গুলোতে ব্লাড স্টোরেজ নেই বলে জানা যায় এখন পর্যন্ত।
সর্বোপরি, যাদের বিশেষ প্রয়োজনে রক্তের দরকার হয়, বা রক্ত দেওয়া নেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বরণাপন্ন হতে পারবেন নিশ্চিন্তে। তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মীরা সাথে থাকবে আপনার সহায়তায়। তাই রক্তের প্রয়োজনে আর নয় চিন্তা। এতক্ষণ ধৈর্য্য নিয়ে আমাদের লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।