হৃদয়ের কথা শুনতে নগর রাজশাহী পা মেলালো নারায়ণা হেল্থের আহ্বানে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রাজশাহীঃ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে উজ্জাপনে শহর রাজশাহী আজ রাজপথে। ভারতের প্রখ্যাত হৃদ শল্যবিদ ডাঃ দেবী শেঠী পরিচালিত হাসপাতাল নারায়ণা হেল্থ এর উদ্যোগে এক অভিনব ওয়াকাথনের স্বাক্ষী রইল রাজশাহী। হৃদরোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে নারায়ণা হেল্থ এই পদচারণার আয়োজন করে। এই ওয়াকাথনের আনুষ্ঠানিক সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, নারী নেত্রী, এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী। প্রায় দুই শতাধিক মানুষ এই ওয়াকাথনে সামিল হন। রাজশাহী শহরের বহরমপুর থেকে যাত্রা শুরু হয়ে লক্ষীপুর হয়ে কলাবাগানে এসে এই পদযাত্রা সমাপ্ত হয়।
এবছর ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রথমেই নিজেদের হার্টকে জানা’ । বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের নানা প্রান্তের মতো দিবসটি রাজশাহীতেও পালিত হলো।
হৃদরোগ নিয়ে একদা একটি মিথ ছিল যে বয়স বাড়লে হার্ট আসক্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে কম বয়সের মানুষদেরও হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। আর তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং নিজের হৃদযন্ত্রকে চিনতে নারায়ণা হেল্থ ডাক দিয়েছে- “শুনুন আপনার হৃদয়ের কথা” । চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় হৃদরোগকে বলা হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। হৃদরোগের কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা বলে থাকেন সচল থাকতে গোটা শরীরের মতো হৃদযন্ত্রেরও অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। আর করোনারি ধমনি হৃদযন্ত্রে এই অক্সিজেন সরবরাহ করে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপনে করোনারি ধমনির ভিতরের দেওয়ালে ফ্যাট জমে যায়। এর ফলে সময়ের সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফুসফুসে রক্তের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে কার্ডিয়াক ইস্কোমিয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়, যাতে হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। বেশ কিছু সময় পর্যন্ত বুঝতে না পারলে, বা চিকিৎসায় দেরি হলে হৃদযন্ত্রের কোষগুলির একে একে মৃত্যু ঘটে। তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন মানুষ।
এই হার্ট ডে উজ্জাপনের মাঝেই এই উপমহাদেশের বরেণ্য হৃদশল্যবিদ ডাঃ দেবী শেঠী আহ্বান জানিয়েছেন, “হৃদরোগ বয়স দেখে আসে না। জিমে গিয়ে ওয়ার্ক-আউট করছেন সিক্স প্যাক বানাচ্ছেন অথচ হৃদযন্ত্রই অকেজো হলে কোনো লাভ নেই। তাই প্রতিটি চল্লিশোর্দ্ধ মানুষের উচিৎ একবার সিটি এনজিও করে দেখে নেওয়া। বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলেই অন্তত ১০ বছরে একবার সিটি এনজিও করে নিন। তাতে সামান্যতম ব্লকেজের সম্ভাবনা থাকলেই চিকিৎসা করা যেতে পারে এবং বিপদ প্রতিহত করা সম্ভব হয়। সচেতনতাই রোগ প্রতিরোধের মন্ত্র হওয়া উচিৎ।“
সচেতনতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগে রাজশাহীর নাগরিকদের স্বতঃস্ফূর্ত এগিয়ে আশায় নারায়ণা হেল্থ-এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।