রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

শীতে ঠোঁটের কোণে ঘা, কী করবেন

৩০-০১-২০২২

শীতে ঠোঁটের কোণে ঘা, কী করবেন

অনেকেই ভাবেন ভেতরে ভেতরে জ্বর আসলে জ্বরঠোসা হয়। কিংবা ঠাণ্ডা লাগলেও জ্বরঠোসা হয়। তবে এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের ভিন্ন মত। তাদের মতে ঠোঁটের কোণায় একগুচ্ছ ফুসকুড়ি কিংবা কোনও কারণে ঘা হলে তাকে বলে জ্বরঠোসা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ফিভার ব্লিস্টার বলা হয়। ফুসকুড়ি ওঠার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ঘা হয়। ঘা হয়ে ব্যাথা হয়, অনেক সময় রসও গড়ায়। এই ব্লিস্টারে ব্যথা হলে তাকে বলা হয় কোল্ড সোর। শীতকালে জ্বরঠোসা একটু বেশিই দেখা যায়।
এর লক্ষণ
ঠোটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছবদ্ধ ফুসকুড়ি, জ্বর, ব্যথা, বমিভাব কিংবা বমি, মাথাব্যথা। সেই সঙ্গে খেতে অসুবিধা, ঠোঁটে জ্বালা করা, ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

কেন জ্বরঠোসা হয়
ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে এইচএসভি-১ ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের কারণেই জ্বর আসে! তবে হ্যাঁ, জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে যদি সেই জ্বর অন্য কোন ইনফেকশনের কারণে হয় যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। আবার ভিটামিন সি আর ডি এর অভাবেও কিন্তু জ্বরঠোসা হয়।

কাদের বেশি হয়
যে কোনও মানুষেরই হতে পারে। প্রায় ৮০% মানুষই এইচএসভি-১ এ আক্রান্ত থাকেন। কিন্তু বেশিরভাগই সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং দশ বছর বয়সে প্রথম প্রকাশ পায়। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাবার পর এইচএসভি-১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে এবং জীবনে বার বার এর প্রকাশ ঘটে।

প্রতিকারেরউপায়
এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে জেনে নিন...

বরফ
যে জায়গায় ঘা হয়েছে সেই জায়গা নখ দিয়ে একদম খুঁটবেন না। বরং বরফ দিয়ে চেপে ধরলে ব্যথা কমবে। অন্য কোনও সংক্রমণের সমস্যা থাকবে না। তবে বরফ সরাসরি নয়, কোনও টাওয়ালে চেপে লাগাতে হবে। পাঁচ মিনিট চেপে রাখুন। এভাবে ১৫ মিনিট ধরে করতে হবে। কোনও ব্যথাতেই বরফ সরাসরি লাগাবেন না।

লেমন এসেন্সিয়াল অয়েল
লেবুতে রয়েছে এমন এসেন্সিয়াল অয়েল, তা তুলো দিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে চেপে লাগাতে হবে। এরপর ওখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন।

রসুন খান
এরকম সমস্যা বেশি হলে রসুন বেশি করে খাবেন। প্রতিদিন গরম ভাতে রসুন আর কাঁচামরিচ ভেজে খান। খেতে পারেন রসুনের আচারও। কিংবা কাঁচা রসুনও খেতে পারেন। এছাড়াও রসুনের কোয়া বেটে নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালেও ভালো ফল পাবেন।

টি ট্রি অয়েল
মুখের যে কোনও সমস্যায় টি ট্রি অয়েল খুবই উপকারী। এই অয়েল মুখ, ত্বক ভালো রাখে। তেমনই যে কোনও ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করে। মুখ ভালো করে ধুয়ে তুলায় করে টি ট্রি অয়েল লাগান। এভাবে ১৫ দিন করলে অনেকটাই উপকার পাবেন।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
ভিটামিনের অভাব হলেও কিন্তু জ্বরঠোসা হয়। আর তাই প্রতিদিন পাতে রাখুন ভিটামিন সি। লেবু, আমলার জুস যে কোনও একটা অবশ্যই খান। যদি প্রতিদিন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন তাহলেও খুবই ভালো। এতে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। আর শরীরও ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে। শীতে ঠোঁটের কোণে লাল হয়ে ফেটে যায়। মুখে বা ঠোঁটের দুই কোণে ঘা হয়ে সাদা হয়ে যায়। এ সময় হাঁ করতেও কষ্ট হয়। ফুলে যায়, ব্যথা হয় এবং খেতে অসুবিধা হয়। এ ছাড়া দেখতেও খারাপ লাগে।

শীতে ঠোঁট সুন্দর রাখতে ও কোণায় ঘায়ের সমস্যা থেকে বাঁচতে যা যা করবেনঃ
১. ঠোঁট ফাটলে অনেক সময় ত্বকের মরা অংশ জমে ঠোঁটের ওপর। এ সমস্যায় রাতে ঘুমানোর সময় বাদাম তেল লাগাতে হবে ঠোঁটে। মরা অংশ কোনো অবস্থাতেই টেনে তোলা যাবে না। ঠোঁট ভেজাতে জিভ দিয়ে কখনও চাটবেন না। মুখের লালায় যে রাসায়নিক উপাদান থাকে, তা ঠোঁটকে আরও শুকিয়ে দেয়।

২. ঠোঁট মসৃণ করতে দুধের সর, মধু ও চিনি দিয়ে প্রতিদিন মাত্র দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন।

৩. শরীর আর্দ্র থাকলে ঠোঁটও শুষ্ক হবে না। এ জন্য প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

৪. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু, জলপাই, আনারস, স্ট্রবেরি, টমেটো, ব্রকলি, সবুজ শাকসবজিসহ সব সময় সহজপাচ্য
ও হালকা মসলাযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খান। নিয়মিত খেজুর, বাদাম, দুধ বেশি বেশি খান।

এই পাতাটি ৩৩৯বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626