লক্ষীট্যারা, গজদন্ত এরকম মিষ্টি ত্রুটিগুলো অনেক সময় হুমায়ুন আহমেদ অথবা সমরেশের মাধ্যমে আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। এরকম একটা মিস্টি ত্রুটি হলো "টাং টাই"। জিহবা নিচের তালুর সাথে আটকানো থাকে, ফলে কয়েকটা অক্ষর (যেমন ল, ত, ছ...) উচ্চারনে সমস্যা থেকে যায় সারাজীবন। হালের একজন নারী উপদেষ্টার উচ্চারণ শুনলে বোঝা যাবে(!)। অনেক নায়িকা/মডেল ও আছেন এই লিস্টে ।
যদি অল্প আটকানো থাকে তাহলে উচ্চারনে সমস্যা ছাড়া খুব বেশি সমস্যা হয়না। কিন্তু অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে জিহবা এত বেশি আটকানো থাকে যে জিহবা নাড়াতেই পারেনা। ফলে দুধ টেনে খেতে পারে না। বড় হতে থাকলেও অনেক নতুন সমস্যা তৈরী হতে থাকে।
তাহলে উপায় কি?? যদি জন্মের পর দুধ টেনে খেতে অনেক বেশি প্রব্লেম হয়, দ্রুত অপারেশন করতে হবে। আর যদি অতটা সমস্যা না হয়, তবে ৯ থেকে ১০ মাস(অর্থাৎ কথা বলা শেখার আগেই)বয়সে অপারেশন করে ফেলতে হয়। রক্তপাতহীন খুব ছোট একটা অপারেশন। মাত্র ২/৩ মিনিট লাগে।একজন এনেস্থেটিস্ট এর সহযোগিতায় ঘুম দিয়ে অপারেশন করা নিরাপদ।
মনে করেন, বাচ্চার বেশি বয়সে ধরা পড়েছে, এখন করনীয়। অপারেশন করা যাবে। স্পিচ থেরাপী দিতে হবে। জিহবার কাজ তো শুধু কথা বলা আর খাওয়া নয়! ফ্রেঞ্চ- দের মত সারা বিশ্বের মানুষের জিহবার আরো অনেক ব্যবহার আছে। সবগুলোই হ্যম্পার হয় "টাং টাই" থাকলে।