বিত্তবান ব্যক্তিদের মধ্যে নারী-পুরুষ সবারই এই সমস্যা। কারণ, তাদের দৈহিক পরিশ্রম নেই। বিশেষ ক্যালোরি গ্রহণ করেই চলেছেন। বিশেষভাবে মহিলাদের মধ্যে এটি একটি সাধারণ সমস্যা। তারা চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান।শুয়ে- বসে দিন কাটান। বাহিরে গেলে গাড়িতে চলাফেরা করেন। পায়ে হাটা নেই। সকাল- বিকেল ছাদে বা পার্কে হাঁটাহাঁটি করেন না। ফলে ওজন বেড়েই চলে।
পুষ্টিবিদের মতে স্থূলতার কারণ?
মুটিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত খাওয়া, কম কায়িক শ্রম,হরমোন জনিত,বংশগত, মানসিক সমস্যা এবং কিছু ওষুধ সেবনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কারণ যাই হোক না কেন প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ বা কোন কারনে ক্যালোরি কম খরচ হলে বাড়তি ক্যালরি শরীরে এডিপোজ টিস্যুতে জমা হয়, যা স্থূলতার মূল কারণ। অনেকক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া শিকার করতে চান না কিংবা তারা যে বেশি খাচ্ছেন তা উপলব্ধি করতে পারেন না।ক্যালরী গ্রহণ ও ক্যালোরি ব্যয়ের অসমতার কারণ হচ্ছে স্থলতার মূলনীতি।
স্থূলতা নির্ণয়: রোগীর কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দ্বারা অতি সহজেই স্থুলতা ডায়াগনোসিস করা যায়।
* সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা
* বিএমআই গণনা
* শারীরিক ফ্যাট বিতরণ নির্ণয়-কোমরের পরিধি পরিমাপ।
*ত্বকের ভাঁজ পরিমাপ, রক্ত পরীক্ষা,আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
স্থূলতা থেকে কি কি জটিলতা হতে পারে :
স্থূলতায় আক্রান্তরা উচ্চ রক্তচাপসহ নানা ধরনের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কে স্টোক,অস্থির প্রদাহ, পিত্তথলিতে পাথর, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার,শ্বাসকষ্ট, ঘুমে ব্যাঘাত, নানা ধরনের ত্বকের রোগ ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে স্থূলকারীদের আয়ুকালও কমে যায়।
চিকিৎসা :
ওবেসিটির চিকিৎসায় প্রথমেই লাইফস্টাইল অভ্যাস সংশোধন ও পরিবর্তন স্থূলতা হ্রাসের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিএমআই নির্ধারণ করে ওজন হ্রাসে ও নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন তৈরি করে খাদ্য টাইপের পিরামিড পুষ্টিবিদের (ডায়টেশিয়ান ) পরামর্শ মত অভ্যাস করা উচিৎ।