ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে কি করণীয়? ডাঃ মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন
ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে করনিয় যে বিষয় টা সেটা আমরা শুরুতেই যেটা বলি ব্রেস্ট ক্যান্সার কে বলা হয় এখন একটি সিস্টেমিক ডিজিজ অর্থাৎ শুরুতেই এটা ছড়িয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। অর্থাৎ ছোট একটি চাকা আপনার কাছে মনে হয়েছে, এমন হয়েছে আপনি হয়তো বুঝতে বুঝতে এটি অনেক দূর ছড়িয়ে গেল। তারপরে আমরা বলি যদি এটি প্রাথমিক স্টেজেই সনাক্ত করতে পারি, তাহলে এটার সারভাইবেলিটি অনেক বেশি। এখন আমরা অনেক ক্ষেত্রে কিউরেবল ডিজিজ ও বলে থাকি। অর্থাৎ আমরা যত দ্রুত সনাক্ত করতে পারব তার প্রতিকার বা ট্রিটমেন্ট ততো ভালো ও দ্রুত করা সম্ভব। আর যত বেশি দেরি হবে অর্থাৎ স্টেজ গুলো দূরে যাবে তখন তার চিকিৎসা পদ্ধতি ততো জটিল, এবং সারভাইবেলিটি সম্ভবনাও কমে যাবে।
স্টেজ গুলো কি কি ?
আমরা সাধারণ ভাবে বলি যে ব্রেস্ট ক্যান্সার যদি ছোট থাকে অর্থাৎ ২ সেন্টিমিটারের মতো। একটি মারবেল সাইজ একরকম থাকে এবং বগল বা অন্য কোন জায়গাতে হয়। তখন আমরা একে স্টেজ ১ বলি। আবার যদি এটা ২ থেকে ৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা বলি স্টেজ ২। আর যদি এই টিউমারের সাইজটা অনেক বেশি বড় হয়ে যায়। অথবা ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়ে যায় চামড়াতে ধরে যায়। অর্থাৎ বগলের লিম্নোডে যায়। তখন সে ক্ষেত্রে আমরা স্টেজ ৩ বলি। আর কখনো যদি রক্তের মাধ্যমে এটা লিভা্র, লাং, হাড়ে ছড়িয়ে যায় সেটা হলো টেজ ৪। সাধারন ভাবে আমরা বলে থাকি স্টেজ ১ এবং স্টেজ ২ ডিজিজ হল আর্লি স্টেজ। আর্লি স্টেজ এ ব্রেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন বা চিকিৎসা খুবই ভালা। এবং অনেক ক্ষেত্রেই এই চিকিৎসাতে ব্রেস্টকে ভালো রেখেই টিউমারটা অপসারন করে টিউমার টাকে বের করে এনে আর কিছু চিকিৎসার মাধ্যমে একটা স্বাভাবিক জীবন দেওয়া সম্ভব।