আসছে মধুমাস নামে পরিচিত জ্যৈষ্ঠ মাস। পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ফল থাকা প্রয়োজন। ফলের উপাদানগুলো আমাদের শরীরে পুষ্টি ও শক্তি জোগায়। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে ফল উৎপাদন ও বিপণনের সময় নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। অজান্তেই এসব কীটনাশকের শিকার হই আমরা। এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয় কখনো কখনো। কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে ফলে প্রয়োগ করা কীটনাশক দূর করা সম্ভব।
পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া
সদ্য কেনা ফল থেকে কীটনাশক ও রাসায়নিক দূর করার সবচেয়ে সহজ হলো ফলগুলো ভালোভাবে পানিতে ধোয়া। ফলগুলো প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর হাত দিয়ে কচলে ট্যাপের বা কলের প্রবহমান পানিতে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লবণপানিতে ভিজিয়ে রাখা
ফলের পরিমাণ অনুযায়ী পানিতে লবণ মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করুন। তারপর এই দ্রবণে ফলগুলো আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর হাত দিয়ে কচলে কলের প্রবহমান পানিতে ফলগুলো ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে ধুয়ে নেওয়া
ফল পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, অতিমাত্রায় প্রয়োগ করলে ভিনেগারের কটু স্বাদ আঙুর কিংবা বেরির মতো ফলগুলোর স্বাদ নষ্ট করে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে পরিমাণমতো পানিতে সামান্য ভিনেগার মেশাতে হবে। তারপর ফলগুলো এক মিনিট ওই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ফলগুলো পানি থেকে তোলার পর প্রবহমান পানিতে ধুয়ে নিন। সব শেষে কিচেন টাওয়েল দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিলেই ফল খাওয়ার উপযোগী হবে।
খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া
ফলের খোসার ওপরের আস্তরণ ফেলে দেওয়া কীটনাশক দূর করার অন্যতম স্বাস্থ্যকর উপায়। এ ক্ষেত্রে ফল ধোয়ার পর খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে।
ব্ল্যাঞ্চিং
ফল থেকে ধুলা, ময়লা ও কীটনাশক দূর করা এই পদ্ধতিও বেশ কাজের। ফুটন্ত পানিতে ফল ভিজিয়ে রাখুন ১ মিনিটের জন্য। তারপর ফলগুলো উঠিয়ে বরফ–শীতল পানিতে রাখুন। এভাবে ফলে মিশে থাকা অপদ্রব্যগুলো দূর হবে।
বেকিং সোডাতে ভিজিয়ে রাখা
পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে ফলগুলো কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর প্রবহমান পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।