এখন গ্রীষ্ম কাল। আমাদের দেশে গ্রীষ্ম কালিন ফল গুলো যেমন সুস্বাদু , তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর । আসুন জেনে নিই গ্রীষ্ম কালিন বিভিন্ন ফলের পুষ্টি গুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
কাঁঠালঃ কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এই ফল রুচি ও শক্তি বর্ধক।কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, খনিজ, মিনারেল, শর্করা, ক্যালসিয়াম, থাকে। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। থাকে । এছাড়া কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। কাঠালের বিচিও ভেজে কিংবা রান্না করে খাওয়া যায়।
আমঃ আমকে আমাদের দেশে ফলের রাজা বলা হয়। অম্লো মধুর এই ফলে ভিটামিন এ, শর্করা, ভিটামিন সি থাকে। পাকা আমের ৬০ শতাংশের বেশি ক্যারোটিন থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃধি করে। কাঁচা আমে থাকা ফাইবার পিকটিন কোলেস্টেরল সহ হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে। আমে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
লিচুঃ লিচু পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আমদের দেশে এই ফলটি সমগ্র দেশেই চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। দেশের দিনাজপুর এলাকায় সাধারনত লিচুর উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। লিচুতে থাকে শর্করা, ক্যালসিয়া্ম, ভিটামিন সি।
জামঃ জাম এ প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে। জাম রক্ত স্বল্পতা দূর করে। জামে শর্করা খুব কম। তাই জাম ডায়াবেটিস রোগী নিশ্চিন্তে খেতে পারে। জামের বিচি রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জাম আমাদের দেহের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
তরমুজঃ তরমুজ এ প্রায় ৯০% পানি থাকায় ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের খুবই উপকারী। তরমুজে শর্করা চিনি, ভিটামিন এ, বি ও সি থাকে। ভিটামিন সি সর্দি, টনসিল, গরম-ঠান্ডা–জ্বর ও নাক দিয়ে পানি পড়া কমায়। তরমুজের হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
বেলঃ এই গরমে ঠান্ডা বেলের শরবত খুবই উপকারী। দীর্ঘ মেয়াদি আমাশয় ও ডায়রিয়ায় কাঁচা বেল ভালো কাজ করে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের জন্য উপকারী। ত্বকের ব্রণ ও সংক্রমণ সারাতে সাহায্য
তালঃ তাল ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সে এ ভরপুর। তালের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য বেশ উপকারী। তাল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়।
ফাহমিদা হাসেম, জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল