রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

রক্তশূন্যতার কারণ ও চিকিৎসা

০৬-১১-২০২১

রক্তশূন্যতার কারণ ও চিকিৎসা

রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া আমাদের দেশে একটি অতি-পরিচিত নাম। শরীরের রক্তে যখন রেড ব্লাড সেল বা হিমোগ্লোবিন কমে যায়, তখন সেই অবস্থাকে রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) বলে। নারীদের স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পুরুষদের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম। পুরুষের রক্তের হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩ দশমিক ৫ থেকে ১৭ দশমিক ৫ গ্রাম। নারীদের রক্তে তা ১২ থেকে ১৫ দশমিক ৫ গ্রাম। এর চেয়ে কম হলে রক্তশূন্যতা ধরা হয়। আমাদের দেশে সাধারণত পুরুষের চেয়ে নারীর রক্তশূন্যতা বেশি।

কারণ
১. রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ অপুষ্টি। খাদ্যে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে, হঠাৎ করে বা অনেক দিন ধরে ধীরে ধীরে শরীর থেকে যদি রক্তপাত ঘটতে থাকে, তাহলে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
২. ব্লিডিং পেপটিক আলসার, যকৃতের সমস্যা, পাকস্থলী বা অন্ত্রের কোনো ক্যানসার, পাইলসের মতো রোগ বা মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত অথবা সন্তান জন্মের সময় রক্তক্ষরণ বা ক্যানসারের কারণে হতে পারে।
৩. অপর্যাপ্ত লোহিত রক্তকণিকা মানে রেড ব্লাড সেল উৎপন্ন হলেও অ্যানিমিয়া হয়ে থাকে। অপর্যাপ্ত রেড ব্লাড সেল উৎপন্ন হয় অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া বা অস্থিমজ্জার সমস্যায়, ভিটামিন বি-১২ বা ফলিক এসিডের এবং আয়রনের অভাব হলে, লিউকোমিয়াতে (রক্তকণিকার ক্যানসার)।
৪. লোহিত রক্তকণিকা দ্রুত ভেঙে যাওয়া। যেমন থ্যালাসেমিয়াতেও রক্তশূন্যতা দেখা যায়।

লক্ষণ
রক্তশূন্যতায় সাধারণত যেসব লক্ষণ দেখা যায়ঃ
১. দুর্বল লাগতে থাকা, অবসাদ ও ক্লান্তি।
২. বুক ধড়ফড় করা।
৩. মাথা ঘোরা, মাথা ধরা, চোখে ঝাপসা দেখা।
৪. চোখ, হাত ও পা সাদাটে ও ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
৫. মুখে ঘা, খাবার গিলতে অসুবিধা।
৬.মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট ও হতে পারে, বুকে চাপ লাগা বা ব্যথাও হতে পারে।

কোন ধরনের পরীক্ষা জরুরি
রক্তশূন্যতা হচ্ছে, এমন সন্দেহ হলে প্রথমেই হিমোগ্লোবিন পার্সেন্টেজসহ রক্তের একটি কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট করা জরুরি। এরপর রোগীর সার্বিক ইতিহাস নিয়ে বিশেষ কোনো রোগের সন্দেহ হলে সে অনুযায়ী পরীক্ষা করা।

চিকিৎসা
১. রক্তশূন্যতা আসলে নিজে কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ। তাই কী কারণে অ্যানিমিয়া হচ্ছে, তা আগে বের করতে হবে। এরপর তার চিকিৎসা করতে হবে।
২. রক্তশূন্যতা মনে হলেই আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি অসুখেরই সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যেমন জরুরি, তেমন পাইলস বা অতিরিক্ত ঋতুস্রাবের সমস্যা থাকলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হয়।
৩. শুধু আয়রনের অভাব হলেই আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে। সঙ্গে আয়রনযুক্ত বিভিন্ন খাবার, যেমন কচু, কচুশাক, কাঁচাকলা, ডাঁটাশাক, লালশাক, কলিজা, গিলা ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।

এই পাতাটি ২৬১বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626