রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

ট্রান্স ফ্যাট কী, কেন এটি ক্ষতিকর? সমাধান কি?

১২-০৯-২০২০

ট্রান্স ফ্যাট কী, কেন এটি ক্ষতিকর? সমাধান কি?

সঠিক ডায়েট আর পুষ্টি নিয়ে নানা মুনির নানা মতো থাকতে পারে। কিন্তু একটি বিষয়ে মোটামুটি সকলেই একমত। তা হচ্ছে ট্রান্স ফ্যাট। সকলেই ট্রান্স ফ্যাট থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন।

ট্রান্স ফ্যাট কাকে বলে?
ট্রান্স ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না এবং এদের হাইড্রোকার্বন চেনের ডাবল বন্ডই হচ্ছে সমস্যার মূল কারণ। এই ডাবল বন্ড হাইড্রোকার্বন শরীর ভাঙতে পারে না, ফলে তা রক্তে রয়ে যায়। একমাত্র এইচডিএল কোলেস্টেরল বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনই পারে এর থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে। এইচডিএল মূলত রক্ত থেকে অন্য সব ক্ষতিকারক ফ্যাট সরিয়ে দেয়, যাতে তা কোনওভাবেই লিভার বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে। রক্তবাহী ভেসেলের ভেতরের দেওয়াল পাতলা রাখতেও তা সাহায্য করে। কিন্তু বেশিরভাগ এইচডিএল যদি ট্রান্স ফ্যাট সরাতেই খরচ হয়ে যায়, তা হলে আপনার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে, বাড়তে পারে রক্তচাপও৷

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন মন্দার বাজারে সস্তায় ভোজ্য স্নেহপদার্থের জোগান দেওয়ার জন্য হাইড্রোজেনেটেড তেল তৈরি হয়েছিল। তারপর ক্রমশ তার ব্যবহার বাড়তে আরম্ভ করে। ১৯৮০ সালের দিকে এর ক্ষতিকারক দিকগুলো সামনে আসে এবং তারপর থেকেই মার্জারিন, বনস্পতির মতো হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাট ব্যবহারে রাশ টানার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

কোন কোন খাবার সবচেয়ে ক্ষতিকারক?
বাজারজাত যে কোনও ডুবো তেলে মুচমুচে করে ভাজা খাবার হচ্ছে ট্রান্স ফ্যাটে ভরা। সাধারণত হাইড্রোজেনেটেড তেলেই তা ভাজা হয়, একবার ব্যবহারের পর যে বাড়তি তেল থাকে, সেটা লাগাতার ব্যবহার করা হয়। পুরনো তেল ফেলে দেওয়া হয় না। আলুর চিপস, তেলেভাজা, শিঙাড়া, জিলিপি, কচুরি, পকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার ইত্যাদি খাওয়ার একান্ত ইচ্ছে হলে বাসায় বানিয়ে খেতে পারেন। ব্যবহার করুন নারকেল, তিল বা অলিভ অয়েলের মতো কোল্ড প্রেসড প্রাকৃতিক ভোজ্য তেল।

মার্জারিন বাদ দিন এখনই, তার চেয়ে নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মাখন বা ঘি অনেক ভালো। বিস্কিট এবং ক্র্যাকারেও ট্রান্স ফ্যাট থাকে, থাকে কেক মিক্স আর আইসিংয়েও। বাসায় কেক তৈরি করে নিন, মাখন দিয়ে আইসিং তৈরি করতে পারেন। ডেয়ারি ফ্রি দুধ বা ক্রিম জাতীয় কোনও বস্তু ব্যবহার করেন? খুব সাবধান, এগুলিও হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাটে পূর্ণ। যাদের দুধে অ্যালার্জি আছে, তারা আমন্ড বা কাজু থেকে তৈরি দুধ ব্যবহার করুন।

প্রাকৃতিক ফ্যাটের জোগান অব্যাহত রাখুন
আমন্ড, কাজু, পেস্তা, চিনেবাদামের মতো বাদাম রাখুন খাদ্যতালিকায়। নারকেল, তিলের মতো কোল্ড প্রেসড তেলও খুব ভালো। চলতে পারে ঘি। খেতে পারেন নারকেল, বাদাম আর কুমড়া, সিয়া বা সূর্যমুখির বীজ। দুধ, দই মাখন, চিজ, ডার্ক চকোলেটও খেতে পারেন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ঠিক কতটা ফ্যাট রাখবেন তা পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলে আপনার শরীর অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।

এই পাতাটি ৩৬৬বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626