রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

জেনে নিন কিটো ডায়েট এর ক্ষতিকর দিক

০৫-০৯-২০২০

জেনে নিন কিটো ডায়েট এর ক্ষতিকর দিক

বর্তমান সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই কিটো ডায়েট বেছে নিচ্ছেন। অনেকে আবার কোনো ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়াই শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে ভিডিও দেখে এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ওজন নিয়ন্ত্রণে কিটো ডায়েট যথাযথ কার্যকর। কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি শর্টকাট পদ্ধতি। দীর্ঘমেয়াদে কিটো ডায়েটের ফলাফল ক্ষতিকর। কিটো ডায়েটে মূলত খাবারে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে ফ্যাট থেকে এনার্জি উৎপন্ন করে শরীর কর্মক্ষম রাখা হয়। ফলে শরীরের চর্বি ঝরে ওজন কমে। এই ডায়েট বহুল আলোচিত ও সমালোচিত। মৃগীরোদের ওষুধ আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত এই ডায়েট অনুসরণ করা হতো। বর্তমানে এই ডায়েটকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে। কেননা এই ডায়েটের ফলে ডায়েট অনুসরণকারীদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আসুন! এবার আমরা কিটো ডায়েটের ক্ষতিকর দিক সমূহ জানার চেষ্টা করি।

১) কিটোজেনিক বা কিটো ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে চর্বি খেতে হয়। ফলে রক্তে কোলেস্টেরল যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই যাদের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিক বা হৃদরোগ আছে তাদের জন্য এই ডায়েট যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গিয়ে বাতের সূচনা করতে পারে।
২) কিটো ডায়েটে একটু বেশি আমিষ খেতে বলা হয়। ফলে কিডনির উপর একটু বেশি চাপ পড়ে, এমনকি পাথর হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাছাড়া দীর্ঘ দিন এটি অনুসরণের ফলে হাড় ক্ষয় হতে পারে।

৩) এই ডায়েট লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। মানুষের জন্মের পর থেকেই যকৃত শর্করা বিপাক্রিয়ায় নিয়োজিত ও অভ্যস্ত। কিন্তু কিটো ডায়েটের মাধ্যমে তাকে নতুন এক প্রক্রিয়ার মাঝে ঠেলে দেয়; যা যকৃতের জন্য সুখকর নাও হতে পারে। বিশেষ করে যাদের লিভারে সমস্যা তাদের জন্য এটি বিপদ ডেকে আনতে পারে।

৪) কিটো ডায়েটের ফলে শরীরে ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাব দেখা দিতে পারে। কেননা এই ডায়েটে ফল খেতে নিষেধ করা হয় কারণ অধিকাংশ ফলেই শর্করা থাকে। ফলে ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

৫) মস্তিষ্কের প্রধান খাবার শর্করা বা গ্লুকোজ। কিন্তু কিটো ডায়েটে শর্করা বাদ দিতে বলা হয়। এতে মস্তিষ্কের কাজে ব্যাঘাত ঘটে নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন-স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মাথা ব্যাথা করা ইত্যাদি। এছাড়াও রাফেজ বা খাদ্য আঁশ না থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা হতে পারে।

৬) কিটো ডায়েটে আরো যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো-ডায়বেটিক না হওয়া সত্তে¡ও হাইপো গ্লাইসেমিয়া, অতিমাত্রা এসিডিটি, গলব্লাডার রিমুভ হয়ে দিন-রাত বমি, সবসময় পানি পিপাসা, ক্ষুধা মন্দা, হঠাৎ হঠাৎ হার্টবিট বৃদ্ধির মত সমস্যা হতে পারে।

পরিশেষে বলা যায়- কিটো ডায়েট ওজন কমানোর জন্য সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা কোনো ডায়েট চার্ট নয়। এটি একশ বছর আগে মৃগী রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘমেয়াদে কিটো ডায়েট শরীরের জন্য ভালো নাকি মন্দ তা এখনও গবেষণার বিষয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই ডায়েট অনুসরণ না করাই উচিত। তাছাড়া শরীর সুস্থ রাখতে সুষম খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করলে বেশি উপকৃত হওয়া সম্ভব।

এই পাতাটি ৪৬৯বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626