আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন অনুসারে গর্ভবতী নারীরা যারা চা-কফির মাধ্যমে ক্যাফেইন গ্রহণ করেন তাদের শিশুরা তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট আকারে জন্মগ্রহণ করে।
এমনকি যে সব নারী ২০০ মিলিগ্রামের কম ক্যাফেইন গ্রহণ করেন যা গর্ভাবস্থার সময় সুরক্ষিত বলে নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা গ্রহণ করলেও প্রিম্যাচিওর শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে বা জন্মের সময় শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে, বেশিরভাগ গর্ভধারণ কোনো রকম পরিকল্পনা ছাড়াই হওয়ার কারণে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, যে সব নারী গর্ভবতী বা যারা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন তাদের কফি বা চা পান কমিয়ে দেয়া উচিত।
গবেষণায় পরীক্ষার জন্য আয়ারল্যান্ডের ৯৪১ জন মা ও শিশুকে বেছে নেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে অর্ধেক নারীই চা পান করে এবং চল্লিশ শতাংশ নারী কফি পান করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব নারী গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ক্যাফেইন গ্রহণ করেছে তাদের শিশুদের জন্মের সময় ওজন সাধারণের তুলনায় ১৭০ গ্রাম কম হয়েছে। চা বা কফি যে ভাবেই ক্যাফেইন গ্রহণ করুক না কেন, ফলাফল একই।
সুতরাং, গর্ভাবস্থায় কফির ক্ষতিকর প্রভাব কী? এই প্রশ্নের উত্তরে বলাই যায়, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে ভ্রূণে পর্যাপ্ত রক্তসঞ্চালন হতে বাধা পায় এবং ভ্রূণের বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।
তাই গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন গ্রহণ ত্যাগ করুন বা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন যে, দিনে কত কাপ চা বা কফি আপনি পান করতে পারবেন।