রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

পরিবারের লোকজনদের করোনা ভাইরাস থেকে দূরে রাখার ৭ টি উপায়

০১-০৯-২০২০

পরিবারের লোকজনদের করোনা ভাইরাস থেকে দূরে রাখার ৭ টি উপায়

কোভিড ১৯ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী, কিন্তু এ সম্পর্কে অনেকেই সঠিক তথ্য জানি না। এখানে তাই এমন সাধারন কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো, যেটা করোনা ভাইরাস থেকে আপনার পরিবারের সুরক্ষার জন্য আপনার জানা একান্ত জরুরী।

আপনি যদি একজন মা/বাবা হয়ে থাকেন, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিউজ গুলো নিশ্চয়ই আপনাকে উদ্বিগ্ন করে। এটা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ২ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১৩ হাজার, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪২৮১ জনের। তাই, সচেতন থাকতে নিয়মিত Centers for Disease Control and Prevention-CDC ( বাংলাদেশের জন্য- https://iedcr.gov.bd/ ) ও Parents.com ( https://www.parent.com/ ) এর ওয়েবসাইটগুলো থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত আপডেট গুলো চেক করুন।

মা/ বাবা হিসেবে আপনার চিন্তা হওয়া একদম স্বাভাবিক, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সতর্কতা গুলো অবলম্বন করলে আপনার পরিবারের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এর পরেও যদি আপনার বাচ্চা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও যায়, এটা তার জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর বা প্রাণঘাতী নাও হতে পারে। Centers for Disease Control and Prevention- CDC এর মতে, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের লক্ষনগুলো খুব মৃদু। তবে, এর ব্যতিক্রমও হতে পারে বিশেষত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা যদি কারো পূর্ববর্তী কোন অসুখ বিসুখ থেকে থাকে। তারপরেও, সচেতন থাকা জরুরী। এখানে এমন ৭ টি বিষয় তুলে ধরা হলো যার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারকে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
করোনা ভাইরাস ঠাণ্ডা বা ফ্লু এর মতো শ্বাসতন্ত্রের একটি অসুখ। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এই জীবাণু ৬ ফুট পর্যন্ত দূরে থাকা মানুষের চোখ, মুখ বা নাক দিয়ে প্রবেশ করে তাকে আক্রান্ত করতে পারে।নতুন বিবৃতি অনুযায়ী, এই জীবাণু শ্বাসপ্রশ্বাসের ফলে বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। Centers for Disease Control and Prevention-CDC এর মতে, এই রোগের ভয়াবহ দিক হলো এটি লক্ষন বিহীনও হতে পারে, অর্থাৎ রোগের কোন লক্ষন প্রকাশ করা ছাড়াই মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। তাই, সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। অন্যদের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন, জনসমাগম হয় এমন জায়গা এড়িয়ে চলুন।

পাবলিক প্লেসে যেতে হলে সচেতনতা বজায় রাখুন
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সবাইকে বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে, যেমন- খাবার দাবার বা ওষুধ কেনার ঘরের বাইরে যেতে হয়। বাইরে গেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সচেতনতা অবলম্বন করুন, যেমন- দোকানের পণ্য নেওয়ার ঝুড়ির হাতল গুলো জীবাণুনাশক দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন, টাকাপয়সা লেনদেনের সময় সচেতন থাকুন, প্রয়োজনে টাকাপয়সা লেনদেনের সাথে সাথে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

মাস্ক ব্যবহার করুন
Centers for Disease Control and Prevention-CDC এর পরামর্শ অনুযায়ী, যেসব পাবলিক প্লেসে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন, সেখানে অবশ্যই কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি অসুস্থ বোধ করেন, বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন, যাতে আপনার হাঁচি-কাশির মাধ্যমে অন্যরা আক্রান্ত না হয়। আর আপনার যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি থাকে, যেমন- আপনার বয়স যদি ৬৫ বা এর বেশি হয়ে থাকেন ও আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কম হয় তাহলে বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই N95 মাস্ক (যেটা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে) পরে তার ওপর কাপড়ের বা অন্য কোন মাস্ক পরুন। ২ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়।

পুরো বাড়ি ও সেখানকার সব জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করুন
মার্চ, ২০২০ এ CDC, UCLA ও Princeton University এর বিজ্ঞানীদের প্রকাশিত এক তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস বাতাসে ৩ ঘণ্টা, তামার ওপর ৪ ঘণ্টা, কার্ডবোর্ডের ওপর ২৪ ঘণ্টা, স্টেইনলেস স্টিল ও প্লাস্টিকের ওপর ২-৩ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। তাই, আপনার বাসা জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে এসব বিষয় মাথায় রাখবেন। খুব ভালো হয় যদি বাইরে থেকে আনা যেকোনো জিনিস জীবাণুমুক্ত করেই ঘরে ঢুকান বা যেখানে রাখবেন সেই জায়গা ভালো করে জীবাণুমুক্ত করুন।

বাচ্চাদের মুখে স্পর্শ না করতে শেখান
William Paterson University এর বায়োলজির প্রফেসর ও মাইক্রোবায়লজি ল্যাব এর ডিরেক্টর এবং “The Hand Book: Surviving in a Germ-Filled World” বই এর লেখক Miryam Wahrman (PH.D.) এর মতে, যদি জীবাণু বাচ্চাদের নাকে বা মুখে ঢুকে পড়ে, তাহলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই, বাচ্চাদের পাবলিক প্লেসে মুখে হাত না দিতে উৎসাহিত করুন।

বাচ্চারা যেন হাত ধোয় সেদিকে খেয়াল রাখুন
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে মূল বিষয় হলো হাত জীবাণুমুক্ত রাখা। তাই, বাচ্চাদের শেখান তারা যেন সাবান ও পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়। লক্ষ্য রাখুন যেন তারা খাবার পূর্বে, বাইরে থেকে আসার পর বা মুখ, নাক, চোখ স্পর্শ করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে হাত ধোয়। Miryam Wahrman (PH.D.) এর মতে, আপনি ৬০% অ্যালকোহল বিশিষ্ট হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েও হাত জীবাণুমুক্ত করতে পারেন।

ভ্রমন করার আগে প্রয়োজনীয় সচেতনতা অবলম্বন করুন
আমেরিকার হোয়াইট হাউজ ইউরোপে ভ্রমন করা সম্পূর্ণরুপে ব্যান করে দিয়েছে এবং CDC এর তরফ থেকেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেন এখন সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক ভ্রমন এড়িয়ে চলা হয়। ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আপডেট গুলো নিয়মিত ফলো করুন ও যেকোনো ধরনের ভ্রমনে যাবার আগে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করুন। Dr. Wahrman বলেন, আপনার ভ্রমন করার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি নাকি প্রয়োজনীয়তা বেশি সেটা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে। যদি আপনি বিমানে ভ্রমন করেন, তাহলে অসুস্থ রোগীদের পাশে বসবেন না, বার বার হাত ধুবেন, আপনার আশেপাশের জিনিস যেমন- টেবিল ট্রে ব্যবহারের আগে জীবাণুমুক্ত করে নিন।

এই পাতাটি ২৭০বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626