গাউট বা গেঁটে বাত হওয়ার কারণ, ধরণ ও নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন?
গেঁটে বাত বা গাউট (ইংরেজি: Gout) হচ্ছে একটি প্রদাহজনিত রোগ; এতে সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি ও এর আশেপাশের টিস্যুতে মনোসোডিয়াম ইউরেট মনোহাইড্রেট ক্রিস্টাল জমা হয়। সাধারণত মাত্র ১-২% লোক এই রোগে আক্রান্ত হয় তবে মহিলাদের তুলনায় পুরুষেরা ৫ গুণ বেশি আক্রান্ত হয়। এটি পুরুষ ও বৃদ্ধা মহিলাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিস। পুরুষরা সাধারণত ৩০ বছরের পর এবং মহিলারা মেনোপজ বা রজোনিবৃত্তির পরে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স বৃদ্ধি ও রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি থাকে তবে বয়স ও ওজন বাড়লে রক্তে ইউরিক এসিডও বাড়বে।(Wiki)
গাউট বা গেঁটে বাত এর ধরণ
গাউট বা গেঁটে বাত দুই ধরণের, Acute ও Chronic.
কেন হয় এই বাত?
স্বাধারণত আমরা যে প্রোটিন খাই তা থেকে রক্তে খুব বেশি ইউরিক এসিড জমে না। এক ধরণের এনজাইম এই এসিড-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু বেশি পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করতে থাকলে একটি পর্যায়ে রক্তে ইউরিক এসিড জমতে শুরু করে এবং তা অস্থি-সন্ধিতে এক ধরণের কৃস্টাল আকারে থেকে যায়। ফলে সেই স্থানটি ফুলে ওঠে, গরম হয় ও ব্যথার উদ্রেক করে। একিউট গাউট যদিও ধরা পড়ে রাতারাতি, তবে এর প্রক্রিয়াটি শুরু হয় দীর্ঘ দিনের খাদ্যাভ্যাস অথবা জীনগত কারণে।
গাউট বা গেঁটে বাত থেকে বাঁচতে কি খাবেন?
• রুটি বা পরিমিত ভাত।
• দুধ (ননীমুক্ত)।
• ফল (বিশেষত: চেরি)।
• পেঁপে (কাঁচা পেঁপে অর্ধ – সেদ্ধকরে)।
• সবজি।
• মিঠা পানির মাছ।
• পুদিনা পাতার রস।
• তেঁতুলের শরবত এবং প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধপানি।
এই বাত থেকে বাঁচতে কি খাবেন না?
• মাংস, হৃৎপিন্ড, কলিজা।
• ব্রয়লার মুরগি ও হাঁসের মাংস।
• সামুদ্রিক মাছ (ইলিশসহ) ও চিংড়ি।
• মাশরুম।
• এলকোহল।
• ডুবো তেলে ভাজা খাবার।
• ডিমের কুসুম।
• ডাল (বিশেষত, মসুর)।
• ছোলা।
• মাখন।
• মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চানাচুর।
• কোমল পানীয় ও আইসক্রিম।
• সবুজ শাক (বিশেষত: পালংশাক ও পুঁইশাক)।
• গাজর, মূলা, মটরশুটি, ফুলকপি ও পাতাকপি (ক্ষেত্রবিশেষে)।
আমরা কত দিন বাঁচব, তার উপর আমাদের কোন হাত নেই। তবে সুস্থ থাকাটা অনেকাংশে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবন-যাপন পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। কাজেই সচেতন হন, যে কটা দিন বাঁচবেন, জীবনকে উপভোগ করে বাঁচুন।