মার্চ ২০২০ থেকে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমন শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি সময়ে দেশের প্রতিটি জেলায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালগুলোর উপরে রোগীর চাপ অনেক। একারনে একান্ত জরুরী প্রয়োজন না হলে হাসপাতাল এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে প্রয়োজনে এক মূহুর্তও দেরী করা যাবে না হাসপাতালে যেতে। চলুন জেনে নেই করোনা আক্রান্ত হলে আতংকিত না হয়ে কখন বাসায় থাকবেন এবং প্রয়োজনে কখন হাসপাতালে যাবেন।
করোনায় আক্রান্ত হলে এবং নীচের লক্ষনগুলো দেখা দিলে আপনি প্রাথমিকভাবে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে পারেন-
# জ্বর
# শুকনো কাশি
# ঘ্রান না পাওয়া
# দুর্বলতা
# সর্দি বা নাক বন্ধ হওয়া
# মাথা ব্যথা
# গলা ব্যথা
# বমি ভাব বা বমি
# ডাইরিয়া
# চোখ লাল হওয়া
# গায়ে র্যাশ
বাসায় থাকুন অন্য মানুষ কে আক্রান্ত হওয়া থেকে বিরত রাখুন। আপনার হাঁচি কাশি থেকে অন্যকে রক্ষা করার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। নিজের ব্যবহারের জিনিষ আলাদা করে রাখুন। নিজের ঘর, বাথরুম বা অন্য জিনিষ নিজে পরিস্কার করুন।
কিন্তু আপনার বয়স যদি বেশি হয় এবং আপনি ডায়াবেটিক, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি অসুখ, ক্যান্সার বা অন্য কোন কঠিন রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এবং নীচের এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতাল যাবেন-
# শ্বাস কষ্ট
# ঠোঁট বা চেহারা নীল হয়ে যাওয়া
# প্রসাব কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া
# বুকে ব্যাথা বা চাপ অনুভব হওয়া
# হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া
# গায়ে র্যা শ যা মিশে যাবেনা চাপ দিলে
# কথা আটকে যাওয়া
# কাশিতে রক্ত যাওয়া
# ঝিমানো
# ভুলে যাওয়া
# অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
করোনার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই তবে সতর্ক থেকে কষ্ট কমানো যেতে পারে এবং ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলে শরীরের অন্যান্য অংগ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।