প্রত্যেক মেয়েরই বয়সন্ধিকাল থেকেই ঋতুস্রাব সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি। এক্ষেত্রে মেয়ের মা, দাদী-নানী, বা খালা-ফুফুদের উচিত মেয়েদের পিরিয়ড শুরুর আগে থেকেই এসম্পর্কে তাদের সচেতন করা। কিশোরী মেয়েকে যেভাবে পিরিয়ড সম্পর্কে ধারণা দেবেনঃ
প্রতি মাসে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের শরীর, বিশেষ করে জরায়ু গর্ভধারনের জন্য তৈরি হয়। জরায়ুতে কিছু আবরন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে ভ্রূণের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু ওইমাসে যদি গর্ভধারণ না হয় তাহলে জরায়ুর এই আবরন এবং তার সাথে রক্ত বের হয়ে আসে। একেই ঋতুস্রাব বা মাসিক বা পিরিয়ড বলে। পিরিয়ড সাধারনত ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সে হয়ে থাকে তবে এই সময়ের আগে এবং পরেও হতে পারে। এটি প্রতিমাসে হয় এবং ৩ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত চলে।
এইসময় অনেকের তলপেটে ব্যথা, মাথাব্যথা এবং শারীরিক দুর্বলতা বোধ হয়। বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার , প্রচুর পানি খেতে হবে পিরিয়ডের সময়ে ,সেইসাথে প্রয়োজন মত বিশ্রাম নিতে হবে। ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা জরুরি। এই সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন বা কাপড় যেটাই ব্যবহার করা হোক তা প্রতি ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর পর পাল্টাতে হবে। মাসিক শুরু হবার পর প্রথম ৫ থেকে ৭ বছর নিয়মিতভাবে নাও হতে পারে। যেহেতু মাসিক হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় , তাই হরমোনের মাত্রা কম বেশি হলেই পিরিয়ডের উপর প্রভাব পড়ে। এতে ভয়ের কিছু নেই। তবে মাসিক হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে, অনিয়মিত হলে বা ১০ দিনের বেশি চললে ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করা উচিত।