চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করার পর জেলাটিতে আলাদা করে সাত দিনের লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
জেলার কর্মকর্তারা এই লকডাউনকে 'কঠোর' বলে বর্ণনা করছেন। বলা হচ্ছে চাপাঁইনবাবগঞ্জকে সোমবার মধ্যরাত থেকে সারা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে।
এমন সময় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো যখন বাংলাদেশে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। সোমবার থেকে দেশটিতে গণপরিবহন চলাচলের উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়েছে। এদিন থেকেই বাংলাদেশের সর্বত্র লঞ্চ, ট্রেন ও আন্তঃজেলা বাসও চলাচল শুরু করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সর্বশেষ শনাক্তের হার ৫৫%, অর্থাৎ প্রতি একশোটি নমুনা পরীক্ষায় ৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত ১৮ই মে থেকে জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী ছিল। গত দুই দিন ধরে সেটা আরেকটু বেড়ে গেছে।
"কখনো ৫৫%, কখনো তার চেয়ে একটু বেশি, কখনো একটু কম, এভাবে ধারাবাহিকভাবে সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করছি," তিনি বলেন।
এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করেই জেলাটিতে আলাদাভাবে লকডাউনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
"আপাতত সাত দিনের লকডাউন দিয়েছি। প্রয়োজনে এটি আরো বাড়ানো হবে," বলেন তিনি।
মি. হাফিজ জানান, নতুন এই লকডাউনের আওতায়, জেলাটিতে অন্য কোন জেলা থেকে কোন ধরণের পরিবহন প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ভাবেও কোন যানবাহন চলবে না। বন্ধ থাকবে সব ধরণের দোকানপাট। শুধু জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ এবং চিকিৎসার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোই খোলা থাকবে।