রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

কোলন ক্যান্সার এর লক্ষন কারন ও চিকিৎসা

০১-১০-২০২০

কোলন ক্যান্সার এর লক্ষন কারন ও চিকিৎসা

কোলন ক্যান্সার সাধারাণত বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার সাধারনত মলদ্বারের ক্যান্সার নামে পরিচিত। একসাথে বলা হয় কলরেক্টাল ক্যান্সার। কোলন ক্যান্সার অধিকাংশ ক্ষেত্রে এডিনোমাটোস (adinomatous) পলিপ নামক কোষ হিসাবে শুরু হয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কিছু পলিপ কোলন ক্যান্সার এ রুপ নেয়। সঠিক স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে পলিপ ক্যান্সার এ পরিবর্তিত হবার পূর্বেই সনাক্ত করা যায়, বিধায় কোলরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। উন্নত দেশে উভয়ের ই এই রোগ তৃতীয় প্রধাণ ক্যান্সার। তবে আমাদের দেশেও এই রোগ এর প্রকোপ কম নয়। প্রথম দশটি ক্যান্সার এর মধ্যে একটি। দিনে দিনে এই রোগের সংখ্যা বাড়ছে। কোলন ক্যান্সার আক্রান্ত অধিকাংশই পঞ্চাশোর্ধ। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী ৪০ বছরের কম সময়ে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে।

কোলন ক্যান্সার এর লক্ষণ
- পায়ুপথে রক্ত ক্ষরণ বা মলের সাথে রক্ত ফোটা দেখতে পাওয়া।
- মল ত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন। মলের রঙ গাঢ় লাল বা কালচে হওয়া।
- নীচের পেটে কামড়ানো ব্যাথা।
- দূর্বলতা অনুভব করা।
- কোন কারণ ছাড়া অত্যাধিক ওজন কমা।
এসকল উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোলন ক্যান্সারের ঝুকিপূর্ণ বিষয় সমূহ:

বয়স
সাধারণত পঞ্চাশ বছর পার হলে এ রোগের ঝুকি বাড়তে থাকে। কারণ বেশীরভাগ রোগীদের ক্যান্সারসনাক্ত হবার বেশ কয়েক বছর আগে থেকে কোলনে পলিপ (যা ক্যান্সার নয়) হয়ে থাকে। পরবর্তিতে তা ক্যান্সারে রুপ নিতে থাকে। গবেষণায় দেখা যায় প্রতি চার জনে একজন এই ধরনের পলিপ থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।

খাদ্যাভ্যাস
অতিমাত্রায় চর্বি জাতিয় খাদ্য বিশেষ করে গরু, খাসির মাংস, বিরিয়ানি, ফাস্ট ফুড, কার্বোনেটেড ড্রিংক্স ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস।পাশাপাশি যদি আঁশ জাতীয় খাবার যেমনঃ শাক-সবজী। তরকারী, ফল ইত্যাদি খাবার কম খাওয়া।

পারবারিক ইতিহাস
রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়দের কোলন ক্যান্সার থাকলে নিজেরও ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে। কিংবা অন্যান্য ক্যান্সার হয়ে থাকলেও আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পুর্বে ইনফ্লাম্যাটোরী বাওল ডিজিজ যেমন আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রনস ডিজিজ হয়ে থাকলে কোলন ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ে।

জীবণ যাত্রা
শারীরিক পরিশ্রম কম করলে অথবা অলস জীবন যাপন করলে এবং অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলে কোলেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া অয়ালকোহল এবং ধুমপান করলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি আরো বেশী হয়।

কোলন ক্যান্সার স্ক্রিনিং
বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোলন ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আপনার যদি কোলোন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। বিভিন্ন স্ক্রিনিং পরীক্ষা পলিপ বা কোলরেক্টাল ক্যান্সার সনাক্তকরনে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিটি একে অপরের সাথে একযোগে অথবা কখনো কখনো একা ব্যাবহার করা হয়। কোলন ক্যান্সার সনাক্তকরণে নিম্নোক্ত স্ক্রিনিং সমুহ করা হয়ে থাকে-

- ফিকাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট
- সিগময়েডস্কপী
- কোলনস্কপী
- ডাবল কন্ট্রাস্ট বেরিয়াম এনেমা
সবার জন্য সকল পরীক্ষা উপযুক্ত নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতি সমুহ নির্বাচন করা হয়ে থাকে।
- কেমোথেরাপি
- রেডিওথেরাপি
- সার্জারি

কোলন ক্যান্সার কোন পর্যায়ে আছে তা যে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করা হয়। আপনার বা আপনার পরিচিত ব্যাক্তির কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকলে কোন পদ্ধতি তার জন্য উপযুক্ত তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয় বিষয় সমুহ:
- আপনার যদি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে থাকে, তাহলে ৫০ বছর থেকে এবং উচ্চ ঝুঁকি থাকলে ৫০ বছরের পুর্বেই স্ক্রিনিং আরম্ভ করুন। আপনার জন্য সঠিক পদ্ধতি জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য অর্থাৎ আঁশ জাতীয় খাবার যেমন শাক-সবজী, তরকারী, ফল খাওয়ার অভ্যাস করা।
- উচ্চ চর্বি যুক্ত খাবার, লাল মাংস, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা।
- নিয়িমিত ব্যায়াম কোল্রেক্টাল ক্যান্সার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।
- শরীরের ওজন শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। পেটে যেন মেদ না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল কলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এগুলো পরিহার করুন।

এই পাতাটি ৬৫০বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626