আমাদের গরমে দিনে রাতের বেলা, বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, ঘুম না আসা এখনকার প্রতি দিনের দুর্ভোগ। অন্যান্য ঋতুর তুলনায় গ্রীষ্মকালে ঘুম সাধারণত একটু কমই হয়। জানা যায় ঘুমের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে মেলাটোনিন নামক একটা হরমোন। যেটা অন্ধকারেই তৈরি হয়। গরম কালে যেহেতু বেশির ভাগ সময় সূর্য মাথার ওপরে থাকে। তাই মেলাটোনিন কম তৈরিও হয়। তাই কারণেই ঘুম তুলনামূলক ঘুম কম হয়। তবে আমাদের শরীর যে নিদ্রা হীনতার কোনো অজুহাতই মানে না। নির্দিষ্ট মাত্রার ঘুম আমাদের আবশ্যক। তাই এই গরমের দিনে ঘুমের সমস্যা দেখা দিলে কী করবেন? মেনে চলতে পারেন এই নিয়ম গুলোঃ
শীতল পরিবেশ তৈরি করুন
গ্রীষ্মে ঘাম থেকে তৈরি হয় অস্বস্তি, আর সেখান থেকে সমস্যা তৈরি হয় ঘুমের। যে কারণে ঘুমানোর আগে ঘর ঠান্ডা করা বেশ জরুরি। ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে প্রয়োজন অনুযায়ী ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। এরপর বিছানায় যান। এতে ঘর যেমন ঠান্ডা হবে, তেমনই ঘুমও হবে আরামে।
আরামদায়ক কাপড় বেছে নিন
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় চেষ্টা করুন হালকা কাপড় পরতে। এতে শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভূত হবে না, ফলে ঘাম তৈরি কম। এ ছাড়া বিছানার চাদর হিসেবে বেছে নিন হালকা রঙের সুতির চাদর। এ ধরনের চাদরে আলো সহজে প্রতিফলিত হয় বলে তাপ ধরে রাখে না। তাই ঘুমের সময়েও আরাম দেয়
আলো কমিয়ে নিন
গ্রীষ্মে ঘরে যত কম আলো প্রবেশ করানো যায়, ততই ভালো। যে কারণে চেষ্টা করবেন দিনের শুরুতেই ঘরের পর্দা টেনে দিতে। এ ছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ অন্ধকার ঘরে বসে থাকুন, শরীরকে অন্ধকারে রাখলে যে মেলাটোনিন উৎপন্ন হয়,
বদভ্যাস বাদ দিন
ঘুমানোর আগে যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত, অনেকেই সেসব মেনে চলেন না। ফলে শুরু হয় ঘুমের সমস্যা। যেমন অনেকেই সারা দিনে অতিরিক্ত ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় পান করেন। কিংবা রাতে ঘুম না আসায় ফোন স্ক্রল করতে শুরু করেন। এসব বদভ্যাস বাদ দিতে হবে ভালো ঘুমের স্বার্থেইঘুমানোর আগে যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত, অনেকেই সেসব মেনে চলেন না। ফলে শুরু হয় ঘুমের সমস্যা। যেমন অনেকেই সারা দিনে অতিরিক্ত ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় পান করেন। কিংবা রাতে ঘুম না আসায় ফোন স্ক্রল করতে শুরু করেন। এসব বদভ্যাস বাদ দিতে হবে ভালো ঘুমের স্বার্থেই