মাথায় উকুন হওয়া আমাদের দেশে পরিচিত ও বিব্রতকর সমস্যা। এই পরজীবী সাধারণত মানবদেহের তিনটি জায়গায় সংক্রমণ করে, যার মধ্যে মাথায় বা মাথার চুলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটায়। এ ছাড়া শরীরে এবং পিউবিক হেয়ার বা গুপ্তলোমেও হওয়া বিচিত্র নয়।উকুন উড়তে বা লাফ দিতে পারে না। সাধারণত একজনের মাথা, শরীর থেকে সরাসরি অন্যজনের মাথা, শরীরে চলে যেতে পারে। আবার একজনের ব্যবহৃত চিরুনি, ব্রাশ, বালিশ, চুলের ফিতা, রাবার ব্যান্ড, বিছানার চাদর, গামছা, তোয়ালে ইত্যাদির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। আবার পুরুষের তুলনায় নারীদের চুলে উকুনের সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। যার মধ্যে কিশোরীদের মাথায় বেশি উকুন হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ১২ বছর বয়সে উকুন বেশি দেখা যায়।
প্রতিরোধ
নিয়মিত চিরুনি দিয়ে মাথা ভালোভাবে আঁচড়ানো। প্রতিবার আঁচড়ানোর আগে মাথা ভালোভাবে তেল বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে।কাপড়চোপড়, বালিশ, তোয়ালে, বিছানার চাদর গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। সম্ভব হলে ইস্তিরি করতে হবে। ব্যবহার করা চিরুনি, ব্রাশ গরম পানিতে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভিজিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।অবশ্যই উকুন নির্মূলের জন্য পরিবারের সবাইকে (একাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হলে) একসঙ্গে চিকিৎসা নেওয়া এবং সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ঘরোয়া চিকিৎসা
উকুন দূর করার ক্ষেত্রে অনেক সময় পেট্রোলিয়াম জেলি, মেয়োনিজ, টি ট্রি অয়েল, রসুন, নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বাড়িতে ব্যবহার করা যায়। তবে এতে সব সময় ভালো ফল না–ও পেতে পারেন।