রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত হল  নাক-কান–গলার ক্যাম্পেইন

১৩-১২-২০২১

ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে অনুষ্ঠিত হল নাক-কান–গলার ক্যাম্পেইন

শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। এ সময় বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দেয়। শীতে নাক-কান-গলার সমস্যা বাড়ে। আসলে নাক, কান, গলার অসুখগুলোর মধ্যে পরিবেশগত ও আবহাওয়ার তারতম্যের একটি প্রভাব রয়েছে। আমরা প্রত্যক্ষভাবে এটি দেখতে পারি। যদি আমাদের দেশকে আমরা ষড়ঋতুর দেশ বলি, সব ঋতু হয়তো এখন খুব প্রকটভাবে নেই, তারপরও শীত থেকে গ্রীষ্ম, গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা, এই যে একটি অতিক্রম করা, এক ঋতু থেকে আরেক ঋতুতে, এতে নাক, কান, গলার রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। প্রথমে আগে অবস্থাটা একটু বলা দরকার। কেন নাক-কান-গলার অসুখ একটি ভিন্ন মাত্রা পায়, বিশেষ করে শীতকালে? আমাদের দেশে শীতটা আসলে এখন খুব স্বল্পস্থায়ী। এরপরও ঋতুর যে পরিবর্তন, এটি কিন্তু প্রকৃতিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আর নাক-কান-গলার অসুখ কেন বাড়ে? এর কারণ হলো, নাক কিন্তু শরীরের এয়ারকন্ডিশনার। আমাদের শরীরে বাতাস ঢোকার একমাত্র রাস্তা হলো নাক। নাককে আমরা হয়তো সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে চিন্তা করে থাকি। তবে এই নাকের কাজ কিন্তু অনেক। যেই বাতাসটা আমাদের ফুসফুসে যায়, একে পরিশোধন করে। ধুলা, ধোয়া এসব পরিশোধন করে ছাঁকনির কাজ করে। বাতাসে হয়তো তাপমাত্রা বেশি থাকে, একে হয়তো সে শীতল করে শরীরের উপযুক্ত করে ঠিক করে। অথবা শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাপমাত্রায় নিয়ে যায়। এবং একই সঙ্গে এই বাতাসের আর্দ্রতাটা কেমন হবে, কোন আর্দ্রতায় গেলে পরে ফুসফুস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবে, সেটিও কিন্তু এই নাক করে। আরেকটি জিনিস হলো নেজাল সাইকেল বলে একটি কথা রয়েছে, নাকের যে দুই নাসারন্ধ্র, এরা কিন্তু পালাক্রমে কাজ করে।
1639395686_1111111.jpg
এখন কী হয়? একটি কথা বলা হয়ে থাকে, আমাদের প্রত্যেকেরই নাকের হাড় কিছু না কিছু বাঁকা। কারোই নাকের হাড় এক সমান হয় না। এটি নিয়েই আমরা চলি, জীবনযাপন করি। কিন্তু যখন ঋতু পরিবর্তন হয়, তখন দেখা যায়, এই যে এয়ারকন্ডিশনিংয়ের বিষয়টি, এটিতেও একটি পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে একটি জিনিস যুক্ত হয়, সেটি হলো অ্যালার্জিক অবস্থা। শীতে বাতাসের আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। ধুলা-বালি, ফুলের রেণু বাতাসে অনেক বেশি থাকে। এই সময় নাকটা বন্ধ হয়ে যায়। আবার যাদের নাকের হাড় বাঁকা রয়েছে, তাদের দেখা যায় এয়ারকন্ডিশনিংয়ের জায়গায় বাড়তি একটি কাজ করতে হয়। এতে রোগীরা হঠাৎ করে বলে আমার নাকটা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে আসছে। নাকটা যখন বন্ধ হয়ে আসে, নাকের সঙ্গে সম্পর্কিত জায়গা, গলা, কান এগুলোতে সমস্যা হয়। এই সময় অনেকে বলে, আমি একটু ঠান্ডা খেলাম। এত দিন আমার কিছু হলো না, এখন তো গলাটা একটু ব্যথা করছে। টনসিলের প্রদাহটা কিন্তু এই সময় আমাদের বেড়ে যায়।

ঠান্ডা থেকে কানে যে সব সমস্যা হয়ঃ
যখন ঠান্ডা লাগল, ঠান্ডা লাগার পরে আমাদের এই যে ইনস্টেটিশিয়ান টিউব রয়েছে, সেই টিউটা ব্লক হয়ে সেখান থেকে দেখা যায় সর্দি ঢুকে যায়। সর্দি ঢুকে গিয়ে মধ্যকর্ণে প্রদাহ করে। এটা একটি তীব্র ব্যথার জন্ম দেয়। একটি সময় দেখা যায়, যখন কানে পর্দা ফুটো হয়ে পানি বের হয়ে আসে, তখন হয়তো ব্যথা একটু কমে, তবে এরপর তার কানটা বন্ধ বন্ধ লাগে। কানটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেল। তবে এটি থেকে তিনি যদি চিকিৎসকের পরামর্শ না নেন, ঠিকমতো, সঠিক মাত্রায় ওষুধ না খান, কারণটা না খুঁজেন যে কেন তার হচ্ছে, এটা তার পরে কানের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগে পরিণত হবে। একে বলা হয় ক্রনিক সাপোরেটিভ ওটাইটিস মিডিয়া। তাছাড়া শো শো শব্দ হতে পারে, ব্যাথা হতে পারে, হঠাত করে কানে না শোনার মতন সমস্যা হতে পারে এগুলার যে কোনো একটি দেখা দিলেই নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে
1639395736_222.jpg
সাইনোসাইটিসের সমস্যাঃ
এই আবহাওয়াতে, এতে সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা খুব বেড়ে যায়। সাইনোসাইটিস প্রচণ্ড ব্যথাদায়ক। দেখা যায় তীব্র মাথা ব্যথা, চোখ ব্যথা, কপালে ব্যথা। মনে হবে যেন মাথার ভেতরে পানি জমে আছে মধ্য বয়স্কদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। অনেকে ডাক্তার এর শরণাপন্ন না হয়ে সাইনোসাইটিসের সমস্যা কে মাইগ্রেন এর সমস্যা মনে করে মাথা ব্যাথার ওষুধ খেয়ে নেন। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ ব্যাতিত কিছু না করাই শ্রেয়। এছাড়া গলা ব্যাথা,টনসিল, স্বরভঙ্গ,ইত্যাদি সমস্যা এসময় বেশি দেখা যায়।
1639395751_333.jpg
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অন্যান্য জেলার থেকে শীত একটু বেশি থাকে। রাজশাহীতে প্রতি বছরই শীতের তীব্রতা থাকে ।শহরের তুলনায় গ্রমাঞ্চালে শীতের প্রকোপটা বেশী যার ফলে গ্রামের ও ছিন্নমূল মানুষরাই নাক-কান-গলা সংক্রান্ত রোগে বেশি আক্রান্ত হয় । অনেকেই এসমস্ত রোগের সঠিক চিকিত্সা করতে পারে না নানা রকম আর্থিক সমস্যার কারনে। এই সমস্ত ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের জন্যই ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাঃ হারুন-উর-রশিদ স্যার স্বল্প খরচে নাক-কান-গলার ক্যাম্পেইন করেন। যেখানে রোগীরা অল্প খরচে চিকিত্সা সেবা নেন। এছাড়াও ডাঃ হারুন-উর-রশিদ স্যার ক্যাম্পইন চলাকালে নাক-কান-গলা সংক্রান্ত সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল টেস্টে ছাড়ের ব্যবস্থা করে দেন। পাশাপাশি ক্যাম্পে আগত রোগীদের সর্বনিন্ম প্যাকেজে অপারেশনের সুবিধা করে দেন যেটা আগামী একমাস ১৩ই জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে।

এই পাতাটি ৮৩১বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626