দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গত শনিবার সকাল আটটা থেকে গতকাল রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত) আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬১৭ জন। রোগী শনাক্তের হারও ৩ শতাংশের নিচে নেমেছে।গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২১ হাজার ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯০। এটি গত সাত মাসের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন শনাক্তের হার। এর আগে সবশেষ এর চেয়ে কম শনাক্তের হার ছিল গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
আগের দিন করোনায় সারা দেশে ২৪ জনের মৃত্যু হয় এবং ৫৮৯ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১২ জন।সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৯ ও নারী ৯ জন। এ সময় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে। দুটি বিভাগে সাতজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া রাজশাহী ও খুলনায় দুজন করে মারা গেছেন। অন্য চারটি বিভাগে কারো মৃত্যু হয়নি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কম–বেশি হলেও গত মে মাসের শেষ দিক থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।
গত ২৬ মের বুলেটিনে করোনায় ১৭ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এরপর ক্রমে করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আগস্টের দুই দিন দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মারা যান। এরপর আগস্টে দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমতে শুরু করে।