রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

কিভাবে এড়িয়ে চলবেন ডেঙ্গু থেকে

০৭-০৯-২০২১

কিভাবে এড়িয়ে চলবেন ডেঙ্গু থেকে

মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ বলে একটা কথা আছে , এমন সময়ে ব্যাখ্যা করার জন্য সেটি একদম ঠিকঠাক। একে তো চলছে মহামারিকাল, তারই মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। বিশেষ করে শহরের দিকে বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এখন তাই করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করার সঙ্গে সঙ্গে লড়তে হবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্যও।
জাতি এখন পুরো সংকটাময় সময় পার করছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই আছে। যদিও ঢাকা বা তার আশেপাশের এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যাটা বেশি তবুও আমাদের সচেতন থাকাটা জরুরি। জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গু এড়িয়ে চলার সহজ কিছু উপায়।

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে

১. ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প নেই। নিজের আবাসস্থল, কর্মস্থান পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখুন। মহামারিকালের বিধিনিষেধে অনেকেই ঘরে বারান্দায় বাগান করেছেন। সেসব টব বা বোতলের জমা পানি ডেঙ্গুর প্রিয় আবাসস্থল। তাই দুদিন পরপর সব জমা পানি ফেলে দিন।

২. বাথরুমের বালতি, গামলা, মগেও যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখুন। বাসা বন্ধ রেখে অন্য কোথাও গেলে বালতি, গামলা, জগ, মগ, টব, ডাবের খোল, ফেলে রাখা টায়ার, যেকোনো পরিত্যক্ত টায়ারে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সেগুলো উপুড় করে রেখে যেতে পারেন। তাতে অন্যান্য ময়লাও ঢুকবে না। অ্যাকুয়ারিয়াম, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনারের নিচে, মুখ খোলা পানির ট্যাংকে যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৩. নিজের অ্যাপার্টমেন্টে, এলাকায় বা পাড়ায় কমিটি করে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে। মশার ওষুধ ও লার্ভিসাইড ছিটাতে হবে।

৪. সূর্যোদয়ের পরের আধা ঘণ্টার আর সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের আগের আধা ঘণ্টা, এই দুই সময়ে এডিস মশা খাবারের জন্য সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়। তাই এই দুই সময়ে বেশি সাবধানে থাকতে হবে।

৫. ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। রোগীকে সব সময় মশারির মধ্যে রাখা ভালো। কেননা, এই রোগীকে যদি সাধারণ মশাও কামড়ায়, সে–ও ডেঙ্গুর বাহক হয়ে যাবে। ফলে, ওই মশা আবার যাকেই কামড়াবে, সে–ই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে।

৬. মশার প্রথম টার্গেট হলো হাত আর পা। তাই হাত পা ঢেকে রাখে, এমন পোশাক পরুন। বাচ্চাদের যথাসম্ভব লম্বা জামাকাপড় পরাতে হবে। ফুলহাতা শার্ট, গেঞ্জি বা জামা, ফুলপ্যান্ট, পায়জামা পরাতে হবে। শরীরের খোলা জায়গায় মশা প্রতিরোধক ক্রিম লাগানো যেতে পারে।
৭. ময়লা রাখার পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করুন। সেটিও নাগরিক জীবনে এডিস মশার আরেকটি প্রিয় স্থান। ব্যবহারের পর ময়লার পাত্রের মুখ ঢেকে রাখতে হবে। এ ছাড়া ঘরের কোনা, ছায়াময় স্থান, একটু স্যাঁতসেঁতে জায়গা, রান্নাঘরের বেসিন বা বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।

৮. বর্ষার মৌসুমে দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হবে। আর জানালা খোলা রাখলেও নেট দিয়ে রাখতে ভুলবেন না। এ ছাড়া ডেঙ্গুবাহী এডিশ মশা থেকে বাঁচতে দিন ও রাতে সব সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর মশার কয়েল কিংবা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

এই পাতাটি ৩০৩বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626