করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনে লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছে প্রশাসন।
বুধবার রাতে সার্কিট হাউজে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে ব্রিফিং করে নতুন সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান মেয়র লিটন।
রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যে গত ১১ জুন থেকে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়, যা ১৭ জুন রাত ১২টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মেয়র লিটন বলেন, গত ছয়দিন রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। সংক্রমণ উঠানামা করলেও মৃত্যু হার একই থেকে গেছে। ফলে সর্বাত্মক লকডাউন আরও আরও সাতদিন বাড়নো হয়েছে যা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
সিটি মেয়র আরও বলেন, রাজশাহীতে প্রথমে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তারপর গত ২ জুন আরও দুই ঘণ্টা এগিয়ে বিকাল ৫টা থেকেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
“এই কদিন আমরা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। কোথাও করোনার নিম্নমুখী সংক্রমণ, কোথাও ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণই বেশি।”
তাই গত শুক্রবার (১১ জুন) বিকাল ৫টা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত রাজশাহী শহরে সর্বাত্মক লকডাউনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল বলে মেয়র জানান।
“কিন্তু সংক্রমণ কমার হার এখনও সন্তোষজনক নয়। এই কারণে বিশেষ লকডাউনের মেয়াদ আরেক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হলো। লকডাউন চলবে ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার প্রমুখ।
শনাক্ত কমেছে
এদিকে, রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার সামান্য কমেছে।
বুধবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহীর ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
রাতে প্রকাশিত দুইটি পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার হয়েছে ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে ৫৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ১৯৩ জনের।
তিনি জানান, রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৪৯ নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জন ও নাটোরের ৮ জনের নমুনায় একজনের পজিটিভ আসে। এছাড়াও বিদেশগামী ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনের পজিটিভ পাওয়া গেছে।