রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

নবজাতককে খাওয়ানোর নিয়ম

১৮-০১-২০২১

নবজাতককে খাওয়ানোর নিয়ম

মায়ের দুধে সব ধরনের খাদ্য উপাদানই থাকে। এ ছাড়া জন্মের পরপর যে হলুদ রঙের শালদুধ নিঃসরিত হয়, তা নবজাতকের রোগ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নবজাতকের বয়স ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধই একমাত্র ও আদর্শ খাবার। ছয় মাস পর থেকে শিশুর পুষ্টিচাহিদা পূরণে, তথা স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার খাওয়ানো দরকার। তবে দুই বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো দুধ বা কৌটার দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। মায়ের দুধে সব ধরনের খাদ্য উপাদানই থাকে। এ ছাড়া জন্মের পরপর যে হলুদ রঙের শালদুধ নিঃসরিত হয়, তা নবজাতকের রোগ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মায়ের দুধ সহজপাচ্য, বিশুদ্ধ এবং এতে রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান থাকে বলে যেকোনো সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। মায়ের দুধ পানকারী শিশুদের হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, স্থূলতা, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, কানের প্রদাহ, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা (ডায়রিয়া, বমি), সিডস (সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম) ইত্যাদির আশঙ্কা কম। যে মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ পান করান, তাঁদেরও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্তন ও জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। কিন্তু বাজারের যেসব শিশুখাদ্য পাওয়া যায়, সেগুলো মায়ের দুধের মতো এতটা সুরক্ষা দিতে পারে না। ফলে নানা রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নবজাতককে দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ রাখা জরুরি:

-নবজাতকের পুষ্টি নিশ্চিত করতে মাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে।

-প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর আগে মাকে এক থেকে দুই গ্লাস পানি অথবা তরল খাবার খেতে হবে।

-দুধ খাওয়ানোর সময় কোনো রকম তাড়াহুড়া করা যাবে না। প্রশান্ত মনে, ধৈর্যসহকারে খাওয়াতে হবে।

-বসে খাওয়াতে চাইলে মায়ের পিঠের পেছনে এবং কোলের নিচে বালিশ নিয়ে আরাম করে বসতে হবে। শুয়ে খাওয়াতে চাইলে শিশুকে মায়ের দিকে পাশ ফিরিয়ে এমনভাবে শোয়াতে হবে, যেন মা হাত দিয়ে শিশুর পশ্চাদ্দেশ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন।

-শিশুর নাক যেন চাপে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

-প্রতিবার দুধ খাওয়ানোর সময় একটি স্তন থেকেই ভালোভাবে খাওয়াতে হবে। কারণ, প্রথম দিকে পাতলা এবং পরে ঘন দুধ বের হয়।

-দুই ঘণ্টা পরপর শিশুকে বুকের দুধ দিতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় একটানা চার ঘণ্টা বিরতি দিলেও কোনো সমস্যা নেই।

-কর্মজীবী মায়েরা কাজে থাকাকালীন শিশুর যাতে বুকের দুধের অভাব না হয়, সে জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কাজ থেকে ফিরে যতবার শিশুকে দুধ খাওয়াবেন, ততবার পাম্প করে ফ্রিজে দুধ সংরক্ষণ করবেন। তবে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা দুধ শিশুকে দেওয়া যাবে না। একটি পাত্রে গরম পানিতে দুধের পাত্র রেখে নেড়ে নেড়ে শিশুর খাওয়ার জন্য সহনীয় করতে হবে।

-মা যদি করোনায় সংক্রমিত হন, তাহলে ভালো করে সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুয়ে মাস্ক পরে শিশুকে দুধ পান করাবেন।

এই পাতাটি ৩০০বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626