পালস অক্সিমিটার। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করতে ছোট অথচ খুবই দরকারী যন্ত্র
পালস অক্সিমেট্রি রক্তের অক্সিজেন স্তর (অক্সিজেন স্যাচুরেশন) পরিমাপ করতে ব্যবহৃত একটি পরীক্ষা। আপনার হার্ট থেকে আপনার শরীরের কিছু অংশে কি পরিমান অক্সিজেন প্রেরণ করা হচ্ছে এটির একটি সহজ, ব্যথাহীন পরিমাপ।
একটি ক্লিপের মতো ডিভাইস শরীরের অংশে যেমন একটি আঙুল বা কানের লোবে স্থাপন করা হয়। রক্তে অক্সিজেন কত আছে তা পরিমাপ করতে প্রোবটি আলো ব্যবহার করে। এই তথ্যটি স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে যে কোনও ব্যক্তির অতিরিক্ত অক্সিজেন দরকার কিনা।
আমার কেন পালস অক্সিমেট্রি লাগবে?
রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেন রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য পালস অক্সিমেট্রি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তথ্যটি বিভিন্ন ধরণের পরিস্থিতিতে প্রয়োজন। এটি ব্যবহার করা যেতে পারে:
- অস্ত্রোপচারের সময় বা পরে
- ফুসফুসের ওষুধগুলি কীভাবে কাজ করছে তা দেখতে
- কোন ব্যক্তির ক্ষমতা পরীক্ষা করতে
- শ্বাস নিতে সহায়তা করার জন্য কোনও ভেন্টিলেটর প্রয়োজন কিনা বা এটি কতটা ভাল কাজ করছে তা দেখার জন্য
- কোনও ব্যক্তির ঘুমের সময় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুহুর্ত রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে (স্লিপ অ্যাপনিয়া)
রক্তের অক্সিজেনের স্তরগুলিকে প্রভাবিত করে এমন কোনও অবস্থার সাথে ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতেও পালস অক্সিমেট্রি ব্যবহার করা হয়, যেমন:
যে সব কারনে পালস অক্সিমিটারে রিডিং ভুল আসতে পারে-
- হাতে মেহেদী বা নেইলপলিশ থাকলে
- হাত বা পা খুব ঠান্ডা হয়ে থাকলে
- নিম্ন রক্তচাপ থাকলে
- রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায় এমন কোনো রোগ থাকলে
- রুমে উজ্জল আলো থাকলে
- একই হাতে প্রেসার এবং অক্সিজেন মাপা হলে
- অক্সিজেনের লেভেল ৭০ এর নীচে নেমে গেলে
- পালস অক্সিমিটারের ভুল ব্যবহারে
দাম: ১৫০০টাকা থেকে শুরু করে মানভেদে বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে।
ছোট অথচ বেশ কাজের এই যন্ত্রটি প্রত্যেকের বাসায় থাকা উচিত।