রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

মানসিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠুন সহজ কিছু অভ্যাসে

২৪-০৯-২০২০

মানসিক ভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠুন সহজ কিছু অভ্যাসে

মন খারাপ থেকে বের হয়ে আসুন
কোন কোন সময় আপনার মানসিক সাহায্যের দরকার হতে পারে। ছোট ছোট কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি খারাপ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারেন। তবে এটা কোন জটিল মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। যদি আপনার মনে হয় যে আপনার কোন সাহায্যের প্রয়োজন, আপনার ডাক্তার, পরিবারের লোকজন বা কাছের মানুষদের জানান।

বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করুন
কোন কিছু না করে শুধুমাত্র শুয়ে বসে থাকা আসলেই একটা সমস্যা। পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের আশেপাশের বিশৃঙ্খল অবস্থা আমাদের মনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এটা আমাদের কাজের ওপর থেকে আগ্রহ কমিয়ে দেয়। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশৃঙ্খল ঘরদোরের কারনে করটিসোল নামক স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয়, বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে। তাই, এখনি আপনার আশেপাশের অগোছালো কাপড়চোপড়, জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখার একটা প্ল্যান করে ফেলুন। আপনি চাইলে এর মধ্যে থেকে অনেক কিছু দান করে দিতে পারেন।

নিজের জন্য সুন্দর কিছু কিনুন
খুব দামি কোন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বা পোশাক হতে হবে তা নয়। হতে পারে সেটা খুব ছোট কোন জিনিস যা সাময়িকভাবে আপনার মন ভালো করে দিবে। তবে গবেষণায় দেখা যায়, কেনাকাটার ক্ষেত্রে আপনার নিজের মনমতো জিনিস কেনার অনুভূতিটাই হলো আসল তৃপ্তি। তাই, স্বল্প মেয়াদী মন খারাপ ভুলে থাকার জন্য ছোট খাটো শপিং করতে পারেন। তবে, অবশ্যই আপনার বাজেটের দিকে খেয়াল রাখবেন।

মজার কিছু পড়ুন
খুব দ্রুত মন ভালো করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বই পড়া। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বই পড়ার ফলে ডিপ্রেসনের লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে ভালো হতে থাকে, এছাড়া এর ফলে মানসিক স্থিতিস্থাপকতার ও মস্তিষ্কের উন্নতি সাধিত হয়। কিন্তু খেয়াল রাখবেন, এটা অবশ্যই এমন কিছু হতে হবে যা পড়ে আপনি আনন্দ পাবেন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় বই পড়ার জন্য বরাদ্দ রাখুন।

পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটান
এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব কলেজ শিক্ষার্থী দিনে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় তাদের পোষা কুকুর বা বিড়ালের সাথে কাটায়, তাদের মধ্যে করটিসোল হরমোন কম নিঃসৃত হয় যা খুব গুরুতর একটি স্ট্রেস হরমোন। অনেক কলেজেই “pet-to-de-stress” প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।প্রতিদিন কিছু সময় আপনার প্রিয় পোষা প্রাণীর সাথে কাটান।

পুরোনো দিনের গান শুনুন
পুরনো দিনের গান আপনাকে রিলাক্স করে ও টেনশন কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। তবেঅনেকেই বেশি উচ্চলয়ের গান শুনতে পছন্দ করেন। এক ইতালিয়ান গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চলয়ের গান আপনার মধ্যে ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করে। গান থেমে যাওয়ার পরে রক্তচাপ ও হার্টবিট প্রশমিত হওয়ার মাধ্যমে এই অনুভূতি তৈরি হয়।

পুষ্টিকর খাবার খান
স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার মানসিক অবসাদ কমিয়ে দেয়, এবং এর ফল দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী হয়। এক পরীক্ষায় কিছু কমবয়সী মানুষকে কয়েক সপ্তাহের জন্য ফলমূল, শাকসবজি ও মাংস সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ডিপ্রেসনের পরিমান তুলনামূলক ভাবে অন্যদের থেকে কম ছিলো। গবেষণায় দেখা যায়, মেডিটেরিয়ান ডায়েট যাতে প্রধানত দানাদার খাবার ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়, বয়স্কদের ডিপ্রেসন দূর করতে সহায়তা করে। তবে, ভালো ফল পেতে এই ডায়েটের পাশাপাশি শরীরচর্চাও করতে হবে।

আকুপ্রেসার করাতে পারেন
এই প্রাচীন চীনা স্ট্রেস কমানোর পদ্ধতিতে আপনাকে শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে মালিশ করতে হবে। এটি আপনাকে উদ্বেগ কমাতে ও রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ইয়িন ট্যাং নামক এই সহজ পদক্ষেপটি ব্যবহার করে দেখুন, যা আপনার ভ্রুর মধ্যবর্তী মধ্য বিন্দুকে বোঝায়। আরাম করে বসুন, এরপর আপনার বুড়ো বা মাঝের আঙ্গুল দুই ভ্রুর মাঝামাঝি রাখুন। আলতো করে চাপ দিয়ে কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট গোল করে ঘুরান। দিনে বেশ কয়েকবার এটি করতে পারেন।

নিজের গতি খুঁজে নিন
যখন আপনি এমন কোন কাজ করেন যা আপনার কাছে ভালো লাগে এবং যেটা করতে আপনি মনের ওপর কোন চাপ অনুভব করেন না, সেটাই হলো আপনার কাজের গতি। আপনার প্রতি দিনের বা সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ কাজ চিহ্নিত করুন। যখন মনে হবে আপনি আপনার নিজের কাজের জগত খুঁজে পেয়েছেন, সেটাই আপনার কাজের গতি। তবে, টিভি দেখা, গেম খেলাকে কাজের গতি বলা যায় না। হতে পারে সেটা নাচ, গান, রান্না করা, পেইন্টিং বা ঘরের কাজ, যেটা করতে গিয়ে আপনি নিজের সমস্যা ভুলে থাকতে পারেন। এইসব কাজের জন্য যথেষ্ট সময় বরাদ্দ রাখুন।

প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটুন
ইকো থেরাপি অনুযায়ী, প্রকৃতির মাঝে ভালো কিছু সময় কাটালে আমরা আমাদের উদ্বেগ, হতাশা ও অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে পারি। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, যারা প্রকৃতির মাঝে হাঁটে তাদের মধ্যে নেতিবাচক চিন্তার প্রবণতা কম। হতে পারে সেটা বাড়ির আশেপাশে বা কোন মেঠো পথ, যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘণ্টা হাঁটুন। আপনি চাইলে জাপানিজদের মতো “Forest bathing” করতে পারেন।

প্রকৃতির বিকল্প খুঁজে নিন
যদি আপনি ঘরের মধ্যে আটকে থাকেন বা আবহাওয়া বিরুপ হয়, প্রাকৃতিক পরিবেশের কল্পনা আপনার মনকে হালকা করে তুলবে। পরীক্ষায় দেখা যায়, প্রাকৃতিক পরিবেশের শব্দ শোনার বা ছবি দেখার মাধ্যমে মানুষের মন প্রফুল্ল ও শান্ত হয়। রিসার্চারেরা মনে করেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ ভাবনা মানুষের মন থেকে নেতিবাচক চিন্তভাবনা দূর করে দেয়।

সুসম্পর্ক বজায় রাখুন
আপনার যখন মন খারাপ হয় তখন আপনার মনে হতে পারে যে আপনি কেমন বোধ করছেন তা অন্যরা যেন বোঝার চেষ্টা করে। কিন্তু আপনকেই সবার সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। পরিবার ও বন্ধুদের সময় দিন। এমনকি যখন তাদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের সাহায্য করুন। পরীক্ষায় প্রমানিত যে, সাহায্য পাওয়ার চেয়ে সাহায্য করার মাধ্যমে অধিক মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরাসরি দেখা করা সবচেয়ে কার্যকরী। তবে প্রয়োজনে ফোন কল, ভিডিও কল বা টেক্সটের মাধ্যমেও যোগাযোগ বজায় রাখতে পারেন।

মজার কিছু খুঁজে নিন
হাসার মতো বিষয় খুঁজে নিন, হতে পারে সেটা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ার মতো ফানি ভিডিও, কৌতুক বা রসিক কোন বন্ধু যে খুব মজার মজার গল্প বলে আপনাকে হাসায়।রসাত্মক বই, মজার পডকাস্ট, বা ম্যাগাজিনগুলির রসিকতাও হতে পারে মজার খুব ভালো উৎস। গবেষণায় দেখা যায়, হাসির মাধ্যমে মানুষের মন হালকা হয়ে যায়, ফলে খুব ভালো বোধ করে।

এই পাতাটি ৪৮৮বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626