রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

প্রসব পরবর্তী ডিপ্রেসন: কারন, লক্ষন ও সমাধান

২২-০৯-২০২০

প্রসব পরবর্তী ডিপ্রেসন: কারন, লক্ষন ও সমাধান

পোস্ট পার্টাম(প্রসব পরবর্তী) ডিপ্রেসন কি?
পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেসন এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যা প্রসব পরবর্তী সময়ে প্রতি ৫জন মহিলার মধ্যে ১জনের হয়ে থাকে।এটি প্রসবের পরে কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে এক বছর পর্যন্ত যে কোন সময় হতে পারে, তবে প্রথম তিন মাসের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেসন সঠিক ভাবে সনাক্ত করা বেশ কঠিন, কারণ মুডসুয়িং এবং অন্যান্য লক্ষণগুলি "বেবিব্লুজ (Baby Blues)" এর মতো।তবে এনআইএইচ অনুসারে, একটি স্বল্পস্থায়ী শারীরিকঅবস্থা যা প্রায় ৮০% নতুন মায়ের হয়ে থাকে।

লক্ষণঃ অবসন্নতা
আপনি যখন নতুন মা হবেন, তখন আবেগপ্রবন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। হরমোনের তারতম্য, ঘুমের অভাব, নবজাতকের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া ইত্যাদি কারনে জীবন আপনার কাছে কষ্টকর মনে হতে পারে। কিন্তু যদি আপনি কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষণ্ণতা, অপরাধবোধ, হতাশায় ভুগেন, তাহলে হতে পারে আপনি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসানের শিকার। অনেক মায়েরাই এটাও বলেন যে, তারা তাদের নবজাতক বাচ্চার ব্যাপারে কোন আগ্রহবোধ করেন না। এমনকি তারা যেসব কাজ করে আগে আনন্দ পেতেন, সেসব কাজ করতে আর ভালো লাগে না।

লক্ষণঃ ঘুমের সমস্যা
প্রতিটা নতুন বাচ্চার মায়ের ক্ষেত্রেই ঘুমের সমস্যা থাকবে, কিন্তু যদি কেউ পোস্টপার্টামডিপ্রেসানে ভুগে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের সমস্যা খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। আপনি হয়তো সুযোগ পেলেও ঘুমাতে পারছেন না, বা খুব বেশি ঘুম হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না হলে তার থেকে ধীরে ধীরে হতাশা ও অবসন্নতা বৃদ্ধি পায়, ফলে একসময় তা মানসিক সমস্যায় পরিণত হয়।

লক্ষণঃ ক্ষুধার পরিবর্তন
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসানের খুব কমন একটি সমস্যা হলো ক্ষুধা খুব বেশি কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া। কিছু মহিলারা অবসন্নতা বোধ করলে প্রচুর পরিমানে খাবার খান, আবার কেউ কেউ একদমই খেতে পারেন না। বাচ্চাকে বুকে দুধ খাওয়ানোর বা ছোট বাচ্চাকে দেখাশোনা করার জন্য প্রচুর কাজ করার ফলে নতুন মায়েরা এমনিতেই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্ষুধা অনুভব করেন। কিন্তু আপনার ক্ষুধার ধরনে যদি খুব বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং আপনার মন খুব বেশি খারাপ লাগে বা অল্পতেই আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন, তাহলে এ ব্যাপারে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

লক্ষণঃ উদ্বেগ
হয়তো সব নতুন মা-ই পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসানের কারনেই উদ্বেগ অনুভব করেন না, তবে কেউ কেউ করেন। আপনি হয়তো নার্ভাস, আতঙ্কিত, অস্থির বা স্ট্রেস অনুভব করতে পারেন। কিছু মহিলার ক্ষেত্রে বাচ্চার স্বাস্থ্য বা সুরক্ষা সম্পর্কে তীব্র উদ্বেগ কাজ করে। আপনি যদি আপনার নবজাতকের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে অতিরিক্ত উদ্বেগ দেখান, তাহলে আপনার স্নায়ু হয়তো সেই উদ্বেগ বেশিক্ষন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, যা পোস্টপার্টামডিপ্রেসানের একটি লক্ষণ।

লক্ষণঃ ঘন ঘন মুড সুয়িং
প্রসবের পরবর্তী সময়ে বিশেষত প্রথম দুই সপ্তাহে, মুড সুয়িং হওয়া খুবই স্বাভাবিক। অবাক হওয়ার কিছু নেই যদি দেখেন যে এই মুহূর্তেই আপনার কান্না পাচ্ছে, পরের মুহূর্তেই আবার হাসি পাচ্ছে। কিন্তু যদি এই অবস্থা দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় বা আরও বেশি খারাপ পরিস্থিতির দিকে মোড় নেয়, তাহলে সেটা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসানের কারন হতে পারে।

অবসন্নতা নাকি বেবি ব্লুজ (Baby Blues)?
সমস্যা বা লক্ষনের স্থায়িত্ব বা তীব্রতার ওপর নির্ভর করে যে এটি পোস্টপার্টামডিপ্রেসন নাকি অন্য কোন সমস্যা। বেবি ব্লুজ এর ক্ষেত্রে মন খারাপ, মুড সুয়িং, অবসন্নতা, উদ্বেগ, অকারনেই কান্নাকাটি ইত্যাদি দেখা যায়, যা সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু যদি আপনার লক্ষণগুলি অব্যাহত থাকে বা সময়ের সাথে আরও খারাপ হয়ে যায় তবে আপনার সাহায্য নেওয়া উচিত।কিছু ক্ষেত্রে, পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসন প্রসবের এক থেকে দুই মাস পরে শুরু হতে পারে, এক্ষেত্রে হতাশার তীব্র অনুভূতি, নিজের বা সন্তানের ক্ষতি করার চিন্তাভাবনা দেখা দিতে পারে।

কখন সাহায্য চাইবেন?
আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন, যদি-
- বেবি ব্লুজ দুই সপ্তাহের বেশি সময় স্থায়ী হয়।
- লক্ষণ গুলোর আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে যায়।
- নিজের বা বাচ্চার যত্ন নিতে সমস্যা বোধ করেন।
- নিজের বা বাচ্চার ক্ষতি করার চিন্তা মাথায় আসে।
- ডিপ্রেসন নাকি থাইরয়েডের সমস্যা?

কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রসব পরবর্তী সময়ে থাইরয়েড গ্রন্থি সাময়িকভাবে সক্রিয় হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে সকল লক্ষণগুলো দেখা যায়সেগুলো হলো হতাশা, অবসন্নতা, ওজন বৃদ্ধি, শুষ্ক ত্বক, ভুলে যাওয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য। আপনি যদি নিজের মধ্যে এই লক্ষণ গুলো দেখতে পান, ডাক্তারের সহায়তায় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার হরমোনের মাত্রা নির্ণয় করুন। যদি থাইরয়েডের কারনে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়, তাহলে যথাযথ ওষুধ গ্রহন করুন।

কি কারনে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসনহয়?
কেউই সঠিকভাবে বলতে পারে না যে, কেন পোস্টপার্টাম ডিপ্রেসন কারো কারো হয় আবার কারো কারো হয় না। প্রসবের ঠিক পরেই হঠাৎ করে অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের নিঃসরণের কারনে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। অবশ্য পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবও এই সমস্যার আরও একটি কারন। কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে বাচ্চার মা হিসেবে নতুন পরিচয় ও দায়িত্ব নিয়ে অস্থিরতা বোধ করতে দেখা যায়, যা পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করে। আপনি যদি আগে থেকেই ডিপ্রেসনে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে আপনার পোস্টপার্টামডিপ্রেসন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

পোস্টপার্টাম সাইকোসিস কি?
পোস্টপার্টাম সাইকোসিস হলো খুবই বিরল ও গুরুতর মানসিক রোগ। বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা সিজোফ্রেনিয়ায়আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বিরক্তি, অস্থিরতা, দ্রুত বদলে যাওয়া মেজাজ, বিভ্রান্তি, ভুল আচরণ এবং বিভ্রান্তিমূলক চিন্তাভাবনা। পোস্টপার্টাম সাইকোসিসে আক্রান্ত একজন মহিলা নিজেকে বা তার সন্তানের ক্ষতি করার চেষ্টা করে থাকেন, তাই কোনও নতুন মায়ের মধ্যে যদি এই লক্ষণগুলোদেখা যায়, তাহলে খুব দ্রুত ডাক্তারের সাহায্য নেওয়া উচিৎ।

কিভাবে পিপিডি নির্ণয় করা হয়?
প্রসব পরবর্তী পরিবর্তন গুলো নিয়ে যদি আপনি খুব বেশি সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তিনি নির্ধারণ করতে পারেন যে আপনি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন অনুভব করছেন কিনা বা আপনাকে কোনও মানসিক ডাক্তারের কাছে যেতে হবে কিনা। অনেক নতুন মায়েরা এসব বিষয় নিয়ে বিব্রত বা লজ্জা বোধ করেন এবং নিজের মধ্যে চেপে রাখেন। তবে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হলেই যে আপনি খারাপ মা, ব্যাপারটা তা নয়। আপনি চাইলেই ডাক্তারের সহায়তা নিতে পারবেন, তাই অযথা কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই।

পিপিডির চিকিৎসাঃ থেরাপি
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত অনেক মহিলারাই টক থেরাপির মাধ্যমেই ভালো হয়ে যান। একজন থেরাপিস্ট আপনার সমস্যা গুলো শুনে সে অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া কগনিটিভ বিহেভিওর থেরাপিকে মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে এন্টিডিপ্রেসান্ট এর সাথে তুলনা করা হয় এবং সেটা পরীক্ষার মাধ্যমেও তা প্রমানিত হয়েছে। প্রসব পরবর্তী সময়ে কগনিটিভ বিহেভিওর থেরাপির একটি স্বল্প মেয়াদি কোর্স করলে সেটা ওষুধের পাশাপাশি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন ঠিক করতে সহায়তা করে।

পিপিডির চিকিৎসাঃ ওষুধ
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন ভালো হওয়ার জন্য আপনার ডাক্তার হয়তো আপনাকে কোন এন্টিডিপ্রেসান্ট ওষুধ দিতে পারে। এই ওষুধগুলো হয়তো খুবই কার্যকরী, কিন্তু এগুলো রাতারাতি কাজ করে না। এছাড়া, এই ওষুধগুলোর কোন খারাপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে বা আপনি অন্য কোন ওষুধ গ্রহন করে থাকলে সেগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। সমস্যা ঠিক হতে কতো সময় লাগতে পারে, এর কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে, আপনাকে কতো সময় ধরে এই ওষুধ গ্রহন করা লাগবে, আপনার সমস্যা আসলেই ঠিক হয়ে গেছে সেটা কিভাবে বুঝবেন এসব বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের কাছে থেকে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে, ব্রেক্সানলোন (জুল্রেসো)ড্রাগপোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে খুব ভালো ফল দেয়।এই ওষুধটির সাধারণত তিন দিনের কোর্স হিসেবে দেওয়া হয়।

এন্টিডিপ্রেসান্ট ও ব্রেস্টফিডিং
আপনি যদি ব্রেস্টফিডিং করান, তাহলে আপনার জেনে রাখা জরুরী যে বুকের দুধের মাধ্যমে এন্টিডিপ্রেসান্ট আপনার বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যদিও এমন অনেক নিরাপদ ওষুধ রয়েছে, তবে ওষুধ গ্রহন করার আগে নিরাপত্তার জন্য আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়। যদি আক্রান্ত মায়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহন না করা হয়, তাহলে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কারনেই বাচ্চা ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

জটিলতা
একটি সুস্থ মা ও শিশুর জন্য, খুব দ্রুত পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়া জরুরী। চিকিৎসা গ্রহন না করা হলে সমস্যা অনেক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে, যার ফলশ্রুতিতে আপনার ও আপনার বাচ্চার কোন দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের ফলে বাচ্চা ও মায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয় না। এর কারনে পরবর্তীতে বাচ্চার বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আচরন গত ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।

ভালো থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
আপনি যদি ডিপ্রেসড বোধ করেন তাহলে এই কৌশলগুলো আপনার কাজে লাগতে পারে-
- পরিবার ও বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন।
- সুযোগ পেলেই বিশ্রাম নিন।
- অন্য নতুন মায়েদের সাথে সময় কাটান। ফলে বুঝতে পারবেন আপনার আসলে কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে।
- বাচ্চা দেখাশুনা করার জন্য মানুষ রাখুন ও নিজের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ করুন।
- খাদ্যাভ্যাস ও অনুশীলনের ফলে উপকার পেতে পারেন
- প্রতিদিন হালকা কিছু ব্যায়াম করুন। হতে পারে আপনার বাচ্চার স্ট্রলার নিয়ে অল্প কিছু সময় হাঁটার ফলে আপনার মন হালকা হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করার ফলে আবার আগের মতো ভালো অনুভব করতে পারেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও অনুশীলনের ফলে আপনি আপনার পূর্বের শারীরিক সৌন্দর্য ফিরে পাবেন, যা আপনাকে মানসিক ভাবে সবল করে তুলবে।
- পরিবারের সদস্যদের সহায়তা
প্রয়োজনীয় সাহায্যের অভাবেই মূলত পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন দেখা দেয়। অনেক বিষয়ই আছে যার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা নতুন মাকে সাহায্য করতে পারেন।
- নিয়মিত চেক করুন তিনি কি করছেন।
- তার জন্য পুষ্টিকর খাবার তৈরি করুন।
- বাচ্চাকে দেখে রাখুন যাতে তিনি ঘুমাতে বা গোসল করতে পারে।
- গৃহস্থালি কাজকর্মে তাকে সাহায্য করুন।

দৃষ্টিভঙ্গি
আপনি যখন হতাশা অনুভব করেন, তখন কোন কিছুই আপনার ভালো লাগবে না। একজন নারী তার জীবনে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন তা হলো মাতৃত্ব। তাই, তার আবেগপ্রবন হয়ে পড়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সবার সহযোগিতা পেলে এই সমস্যা মোকাবেলা করা তার জন্য সহজ হয়ে যায়। আপনার মধ্যে যদি হতাশা কাজ না করে, তাহলে আপনি নতুন বাচ্চার সাথের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া বাচ্চাকে নিয়ে পরবর্তী সমস্যাগুলো মোকাবেলা করাও আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।

এই পাতাটি ৫৬১বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626