রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডায়াগনিষ্ট/হাসপাতালের জন্য কিছু সংখ্যক ডাক্তার প্রয়োজন।

মোটা হয়ে যাচ্ছেন? জেনে নিন কারনগুলো
Share on

০৩-০৯-২০২০

মোটা হয়ে যাচ্ছেন? জেনে নিন কারনগুলো

মোটা শরীর বা স্থূলতা কিন্তু আসলেই এক ধরণের অসুস্থতা। আপনার বি.এম.আই. যদি ৩০ এর বেশি হয়, তাহলে আপনি নির্ঘাত মোটাদের দলে পড়েছেন। মোটা শরীর মানেই সবল শরীর নয় বরং মোটা ব্যক্তির যে কোন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি।

স্থূলতা বা অবেসিটি কী কী কারণে হয়?
স্থূলতার কারণ নানাবিধ। যারা অতিরিক্ত শর্করা, চর্বি বা আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করেন অথবা শরীর চর্চা করেন না অথবা ঘরে বা বাইরে কম কাজ করেন, তারা দ্রুত মুটিয়ে যান। ফলে ওজন বৃদ্ধি পায় খুবই দ্রুত।

জিন অথবা হরমোনের কারণে কেউ কেউ মাত্রাতিরিক্ত মোটা হয়ে যান। মনঃস্তাত্বিক কিছু কারণেও কেউ কেউ জীবনের কোন একটা পর্যায়ে মুটিয়ে যান। অনেকে মোটা হন ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়। ইদানিং সমাজে জাংক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। ফলে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে একটা বড় অংশ স্থূলতায় আক্রান্ত। এর পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে, তা যদি অভিভাবকেরা স্পষ্ট ভাবে জানতেন, তাহলে ভুলেও তাঁদের সন্তানদের ঐ Slow poison খাওয়াতেন না।

আরো একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়। যাদের ওজন একটু বেশি, তাদের শরীরে খাবারের চাহিদা বেশি (অনেকটা বড় গাড়ি যেমন বেশি জ্বালানী খরচ করে, সেরকম)। খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে যারা বেশি খান, তাদের শরীরে মেদ বেশি জমে। এ যেন এক অচ্ছেদ্যচক্র! কারো কারো আবার মেদ বেশি নেই, কিন্তু শরীরটা স্থূল এবং ভারী।

মোটা শরীরকে এককালে ধনাঢ্যতা বা আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রাপ্ত ফলাফলের বিশ্লেষণে দেখা যায় স্থূলতার কোন উপকারিতা নেই; বরং তা মানুষকে ক্রমেই মৃত্যূর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। হৃদরোগ, নিদ্রাহীনতা, ডায়াবেটিস (টাইপ-২), নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার, হাড়ের বাত ইত্যাদি রোগের বড় কারণ স্থূলতা বা অবেসিটি । স্থূল শরীর সৌন্দর্যকে কমিয়ে দেয়, কমিয়ে দেয় শরীরের কর্মদক্ষতা। কাজেই নিজের ওজনের ওপর যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ রাখুন, বাঁচুন সুস্থ্য ও সুখী হয়ে।

এক নজরে স্থূলতার কারণসমূহ-
- অতিরিক্ত শর্করা, চর্বি বা আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ
- শরীর চর্চা বা ভারী কাজ না করা
- জিনগত বা হরমোনগত কারণ
- মনঃস্তাত্বিক কিছু কারণ
- ওষুধ সেবনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- জাংক ফুড খাওয়া

এই পাতাটি ৪২৩বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ


14th June
বিশ্ব রক্তদাতা দিবস

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস প্রতি বছর ১৪ জুন পালিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ রক্তদানের গুরুত্ব প্রচার এবং রক্তদাতাদের প্রতি সম্মান জানানো। এই দিনটি কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার-এর জন্মদিনে পালন করা হয়, যিনি রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করে আধুনিক রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মতো সংগঠনগুলো ২০০৪ সাল থেকে এই দিবসটি আয়োজন করে আসছে। প্রতিবছর একটি বিশেষ থিম নির্ধারণ করা হয়, যেমন ২০২৩ সালে থিম ছিল "রক্ত দিন, প্লাজমা দিন, জীবন বাঁচান, নিয়মিত শেয়ার করুন"। রক্তদান জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা, থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার, দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগী ও প্রসূতি মায়েদের জন্য অপরিহার্য। তবে বিশ্বজুড়ে রক্তের ঘাটতি রয়েছে, তাই নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এই দিবসে রক্তদাতাদের তালিকা তৈরি, ক্যাম্পেইন, সেমিনার ও পুরস্কারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়। একটি রক্তদান তিনটি জীবন বাঁচাতে পারে—এ সত্য সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াই এই দিনের লক্ষ্য। সকল সুস্থ ব্যক্তিকে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় এই মহৎ উদ্দেশ্যে।




যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
a part of Rajshahi Hub