রাজডক - Rajdoc
Banolata-2023-03-09.gif
Banolata-2024-03-09.gif

ডাঃ এর সিরিয়াল দিন

গরমে আপনার সোনামনির যত্ন

২৮-০৮-২০২০

গরমে আপনার সোনামনির যত্ন

গরমে বড়দেরই অবস্থা খারাপ। তাই সন্তানের জন্য অনেক চিন্তা হয় বাবা মায়ের। ছোট বাচ্চাদের কিভাবে সুস্থ রাখবেন? গরমে যদি আপনার সোনামনির ভাল ভাবে যত্ন নেয়া না হয় তাহলে তার অনেক রকম অসুখ হতে পারে। তাই আপনার বাবুটির যত্ন নিন কারণ বেশিরভাগ গরমকালীন রোগ গুলো প্রতিরোধযোগ্য। আসুন জেনে নেয়া যাক কি কি রোগ গরমে বেশি হয়।

গরমে শিশুদের সাধারণত যেসব রোগ হয় তা হলো :

(১) পানিশূন্যতা – অনেক ঘাম হয় ,ফলে প্রয়োজনীয় পানি ও খনিজ লবণ বের হয়ে পানিশূন্যতা হয় ।

(২) জ্বর – শরীরের ঘাম বসে গিয়ে ঠান্ডা লাগে। এছাড়া অতিরিক্ত ফ্যানের বাতাস বা এয়ারকুলারে থাকলে ঠান্ডা লেগে জ্বর হয় ।

(৩) বমি ও ডায়রিয়া – বাসি পচাঁ খাবার খেলে বা রাস্তার ধারের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে বমি ও ডায়রিয়া হয় ।

(৪) ত্বকে এলার্জি – গরমে অতিরিক্ত ঘামে শরীরে লোপকুপগুলো বন্ধ যায় এবং সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে ফলে এলার্জি হয় ও ঘামাচি উঠে ।

(৫) মশাবাহিত রোগ যেমন ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু – গরমে এসব মশাদের প্রাদুর্ভাব বাড়ে ।

(৬) হিটস্ট্রোক – অতিরিক্ত গরমে শরীর তাপমাত্রার ব্যালেন্স করতে পারেনা ফলে গা অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় ও নিঃশ্বাস ঘন হয়ে যায় ।

বাচচাদের যত্ন নিবেন যেভাবে :
বাচ্চাদের নিয়ে মা বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কি করলে তাদের সন্তান ভাল থাকবে ও ভাল ভাবে বেড়ে উঠবে তা নিয়ে তাদের যত দুশ্চিন্তা। চলুন এই গরমে বাচ্চার যত্ন কিভাবে নিতে হবে সে সম্পর্কে জানি।

বাচ্চাকে নিয়মিত গোসল করান :
এই গরমে বাচ্চাদের খুব এলার্জি উঠে। তাই যখন গোসল করাবেন তখন বাচ্চার গলার ভাঁজ, বগল, ২ পায়ের ভাঁজ, হাটুর ভাঁজ ও শরীরের অন্যান্য ভাঁজযুক্ত জায়গা যত্ন সহকারে পরিষ্কার করবেন। আপনি চাইলে পানিতে নিম তেল অথবা ডেটল কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে করে বাচ্চার শরীরে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে। এছাড়া বাচ্চার হাত সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। বাচ্চাকে বার বার হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। এছাড়াও দিনে বেশ কয়েকবার একটি পাতলা সুতি কাপড় ভিজিয়ে বাচ্চার গা মুছে দিন।

জামা :
বাচ্চাকে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন সুতির জামা পরাবেন। বেশি গরম পড়লে শুধুমাত্র সুতির প্যান্ট পরিয়ে রাখুন। বাচ্চাকে বাইরে না নিয়ে যাওয়াই ভালো। বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দরকার না পড়লে আপনার শিশুটিকে ঘরে ঠান্ডা আবহাওয়ায় রাখুন। যদি বাচ্চাকে বাইরে নিয়ে যেতেই হয় তাহলে একটা বড় ক্যাপ পরান অথবা ছাতা ব্যবহার করুন। সানস্ক্রীন লাগাতে ভুলবেন না যেন।

খাবার ও পানি :
বাচ্চার বয়স অনুযায়ী খাবার দিন। ২ বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ান এবং বাচ্চার ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ান। বাচ্চাকে এই সময় বুকের দুধ ছাড়া পানি খাওয়ানোর-ও দরকার নেই। ৬ মাসের পর বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান। গরমে বাচ্চাকে একটু পরপর বুকের দুধ খাওয়ান যাতে বাচ্চা পানিশূন্যতায় না ভোগে। এছাড়া স্যালাইন পানি, ডাবের পানি, লাচ্ছি, শরবত, ফলের রস দিন আপনার ছোট সোনামনিকে। একটি কথা বলে রাখা জরুরী, যে পাত্রে আপনার বাবুটি খায় তা অব্যশই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থাকা দরকার। বাসি ও পচাঁ খাবার পরিহার করুন। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডা খাবার পরিহার করুন। প্রচুর পরিমাণে পরিষ্কার ও ফুটানো পানি পান করান।

বাড়িঘড় ও আশেপাশের পরিবেশ :
বাড়িতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। জানালা খোলা রাখুন। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড় কাটুন ও বদ্ধপানি অপসারণ করুন। তেলাপোকা, পিঁপড়া, ইঁদুর, মাছি ও মশা থেকে ঘর নিরাপদ রাখুন। এজন্য প্রয়োজনীয় ডিজইনফেক্ট্যান্ট ব্যবহার করুন। এছাড়া বাড়িঘর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন।

কসমেটিক ব্যবহার :
বাচ্চাকে তেল মালিশ একদম করবেন না গরমে। পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাবেন না। মৃদু সাবান ব্যবহার করুন। গোসলের পর হালকা ট্যালকম পাউডার লাগাতে পারেন। তবে অনেক লাগাবেন না। এতে করে ঘামের সাথে পাউডার মিশে একাকার হয়ে যাবে এবং আপনার বাচ্চাকে অস্বস্তি দিবে।

চুল ও নখ কাটুন :
গরমে আপনার শিশুর চুল কেটে ছোট রাখুন অথবা পারলে মাথা ন্যাড়া করে দিন। এতে করে তার আরামবোধ হবে। নখ নিয়মিত কেটে ছোট করে দিবেন।

এয়ার কন্ডিশনার :
বাচ্চাকে এয়ার কন্ডিশনযুক্ত রুমে রাখলে একটু জামাকাপড় পরান এবং বাচ্চার চুল যাতে শুকনো থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। বাচ্চার শরীরে মানায় এমন তাপমাত্রা রাখুন। এয়ারকন্ডিশনার যুক্ত রুম থেকে সাথে সাথে গরম আবহাওয়ায় বের করবেন না। এয়ারকন্ডিশনারটা বন্ধ করে বাচ্চাকে একটু গরম পরিবেশে অভ্যস্ত করে তবেই বাইরে নিয়ে আসবেন। বাচ্চাকে সরাসরি ফ্যানের বাতাসে রাখবেন না। এছাড়া কোন সমস্যা হলে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনার শিশুকে সুস্থ রাখুন।

এই পাতাটি ২৫৪বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য প্রবন্ধ



যোগাযোগ
প্যারামেডিকেল রোড
লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী
Email: info@rajdoc.com
Phone: +8801753226626