ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘ মেয়াদী রোগ। তাই সুস্থ্য থাকতে হলে প্রয়োজন গভীর পর্যবেক্ষণ ও নিজের যত্ন নেয়া। ডায়াবেটিস মোকাবেলায় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাই যথেষ্ঠ নয়। এরজন্য দরকার সামাজিক আন্দোলন এবং রাষ্ট্রীয় সমর্থন।
ডায়াবেটিস হলে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। যেমন শরীরের কোন স্থান কেটে গেলে সে ক্ষত শুকাতে বেশ সময় লাগে। এজন্য রোগীকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এধরনের বহু সমস্যা আছে যা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকলে হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস এর কারনে ক্ষুদ্র রক্তনালির এবং বড় রক্তনালীর নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। ক্ষুদ্র রক্তনালীর সমস্যাকে মাইক্রো ভাস্কুলার এবং বড় রক্তনালীর সমস্যাকে ম্যাক্রো ভাস্কুলার জটিলতা বা কুফল বলা হয়।
মাইক্রো ভাস্কুলার জটিলতা
চোখ , কিডনি এবং স্নায়ুগুলোকে ক্ষতি গ্রস্ত করে। এ অবস্থা কে যথাক্রমে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, নেফ্রপ্যাথি, নিউরোপ্যাথি বলা হয়।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হলে প্রথম অবস্থায় দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে শেষে অন্ধ হয়ে যায়। ডায়াবেটিক নেফ্রপ্যাথি কিডনির অক্ষমতা থেকে সম্পূর্ণ কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় ডায়ালায়সিস প্রয়োজন হয়। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি- ডায়াবেটিস এমন এক ঘাতক যা স্নায়ুকে অসাড় করে পুরো অঙ্গ এর কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। পায়ে এ সমস্যা বেশি হয়। এ কারনে অনেক সময় পা কেটে ফেলতে হয়। যা এম্পুটেশন নামে পরিচিত।
ম্যাক্রো ভাস্কুলার জটিলতায় হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ হয়ে থাকে।
সুতরাং ডায়াবেটিসের জটিলতা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ওসধ সেবন, খাবার গ্রহণের সতর্কতা এবং সুশৃংখল জীবন যাপন আবশ্যক।