শৃংখলাই জীবন। এ কথাটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অপরিহার্য। একজন ডায়াবেটিস রোগীর তিনটি জিনিষ মেনে চলতে হয়- খাবার, নিয়মানুবর্তিতা ও ঔষধ। এর মধ্যে সুষম খাবারই হচ্ছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের অন্যতম হাতিয়ার। ডায়াবেটিক খাবার মানে এই না যে আপনি আপনার প্রিয় খাবার গুলো থেকে বিরত থাকবেন, আপনি সকল খাবার খেতে পারবেন কিন্তু নিয়ম মাফিক ও পরিমিত আকারে। আপনার প্রতিদিন খাদ্য তালিকাতে সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। সুষম খাদ্য হল শর্করা, চর্বি, আমিষ ও শাক সবজির সঠিক সংমিশ্রণ। যেমন; শর্করা ৫০-৬০%, চর্বি ৩০%, আমিষ ১০-২০% এবং শাক সবজি ২০-৩৫ গ্রাম।
আপনার খাবারের সময় নির্ধারণ করে নিন । সারাদিনের খাবারকে ৬ টি ভাগে ভাগ করে নিন, ৩টি প্রধান খাবার এবং ৩টি নাস্তা। সকাল, দুপুর ও রাত এই ৩টি প্রধান এবং এর মাঝে ৩টি নাস্তা।
সকাল: ৭-৮ টার মধ্যে নাস্তা শেষ করতে হবে। এ সময় রুটি/ চিড়া/ খই/ মুড়ি সাথে সবজি ও ডিম। মধ্য সকাল: ১০-১১ টার সময় পছন্দ মত একটি ফল। দুপুর: ১-২ টার মধ্যে ভাত,মাছ/ মুরগী, শাক সবজি, সালাদ ও লেবু। বিকালের নাস্তা: ৫-৬ টার মধ্যে ছোলা/ বাদাম/ মুড়ি/ স্যুপ রং চা। রাতের খাবার: ৮-৯ টার মধ্যে ভাত/ রুটি/ অটস, মাছ/ মুরগী, সবজি, সালাদ ও লেবু। ঘুমাবার আগে: এক কাপ দুধ, দই, ছানা বা পনির।
যে অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে হবে-
- প্রক্রিয়াজাত যে কোন খাবারের পরিবর্তে ঘরে তৈরি খাবারের অভ্যাস করতে হবে।
- পরিষ্কার, টাটকা ও রঙ্গিন শাক সবজি ও ফল খাওয়ার অভাস করতে হবে।
- কোমল পানীয় ও জুসের পরিবর্তে লেবুর শরবত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
সুস্থ্য জীবনের প্রয়োজনেই সুশৃংখল জীবন প্রয়োজন। সুশৃংখল জীবনের অন্যতম উপাদান সুষম খাবার। আর তাই ডায়াবেটিক আক্রান্ত জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ঔষধ নয় বরং প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন।