মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠছেন অনেক রোগী। বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই বলে আসছেন মৃদু উপসর্গের করোনা রোগীরা বাড়িতে চিকিৎসা নিলেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
তবে কিছু করোনা রোগীর মৃদু লক্ষণগুলো আক্রান্তের প্রথম সপ্তাহে গুরুতর হতে পারে। এমন অবস্থা হতে পারে যখন রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ যায়েদ হোসেন বলেন, মৃদু উপসর্গের রোগীরা বাড়িতেই চিকিৎসা নিতে পারেন।
তবে কিছু উপসর্গ যদি জটিল আকার ধারণ করেন যেমন- শ্বাসকষ্ট, শরীরের অক্সিজেন অতিরিক্ত কমে যাওয়া, ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া, মস্তিষ্কে চা ও বুকে প্রচণ্ড ব্যথা। এসব জটিল উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
আসুন এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
১. শ্বাসকষ্ট ও বুকব্যথা করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। এই ভাইরাস শ্বাসনালির ওপরের ট্র্যাক্ট এবং সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ করে থাকে। ফলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। যদি অল্প পরিশ্রম, হাঁটা ও সিঁড়ি ভাঙলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. করোনা রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে তা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। করোনা রোগীর নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত হতে পারেন, যা ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে গেলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জরুরি।
৩. মস্তিষ্কে চাপ বা বিভ্রান্তি হতে পারে। বিভ্রান্তি, নিদ্রাহীনতা, ক্লান্তি এসবের লক্ষণ। যদি সহজ কোনো কাজ করতেও রোগীর অসুবিধা হয় এবং কোনো বাক্য স্পষ্ট করে বলতে না পারেন, তখন দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
৪. করোনা রোগীর বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। করোনা হলে ফুসফুসের মিউকোসাল লাইনিংকে আক্রমণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি বুকের ভেতরে ও এর আশপাশে একটি সঙ্কোচিত ব্যথা বা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
৫. ঠোঁট বা মুখের অংশগুলো ফ্যাকাসে নীল হয়ে গেলে বুঝতে হবে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে। এ সময় রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
এছাড়া জ্বর না কমা, ডায়েরিয়া ও অতিরিক্ত বমি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।যুগান্তর।